এই গর্ত থেকেই পাওয়া গিয়েছে দেহ। ছবি— টুইটার।
বছর বারোর নিখোঁজ এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হল একটি গর্ত থেকে। হাথরস-কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুনের ঘটনার পরের দিনই ফের চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমে বুলন্দশহরে। ওই কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হাথরস-কাণ্ডে গৌরব শর্মা নামের এক অভিযুক্ত সম্প্রতি জামিন পেয়েছিলেন। সোমবার তিনি হাতরস-কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যোগী আদিত্যনাথ যখন পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে প্রচার করছেন, নারী সুরক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করছেন, তখন তাঁর রাজ্যের বুলন্দশহরের উদ্ধার হয়েছে গত কয়েক দিন নিখোঁজ থাকা এক কিশোরীর দেহ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী নিঁখোজ হয়। মঙ্গলবার তার দেহ একটি বাড়ির পাশে গর্ত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই বাড়িটি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে জমিতে কাজ করছিল ওই কিশোরী তার ২ বোন এবং তাদের মা।
ক্ষেতে কাজ করতে করতে ওই কিশোরী ‘জল তেষ্টা পাচ্ছে’ বলে বাড়ির উদ্দেশে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ কেটে গেলেও সে ফিরে আসেনি। বাড়িতেও পাওয়া যায়নি তাকে। চার দিকে খোঁজ শুরু হয়। সন্ধ্যায় ফের ওই ক্ষেত এবং ওই বাড়ির কাছে খোঁজা শুরু হয়। সেখানে এক মত্ত ব্যক্তিকে পাওয়া গেলেও কিশোরীর কোনও খোঁজ মেলেনি।
দিন তিনেক কিশোরীর কোনও খোঁজ না মেলায় ২৮ ফেব্রুয়ারি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর মঙ্গলবার কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। নিঁখোজ হওয়ার দিন ওই কিশোরীরা যে ক্ষেতে কাজ করছিল তার কাছের বাড়িটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে দেখা যায় কিছুটা মাটি খোঁড়া। সেই মাটি সরাতেই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।
বুলন্দশহর পুলিশের এক কর্তা সন্তোষকুমার সিংহ জানিয়েছেন, যে বাড়ি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে এক ব্যক্তি তাঁর ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বছর বাইশের ছেলে হরেন্দ্র পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বুলন্দশহরের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে কিশোরীটিকে খুনই করা হয়েছে। এমনকি যৌন নির্যাতনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গোটা বিষয়টিই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy