রাস্তার ধারে একটি ধাবায় রাঁধুনির কাজ করেন। মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন পান। সেই রাঁধুনির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই নাকি ৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আয়কর দফতরের নোটিস পেয়ে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রবীন্দ্র সিংহ চৌহানের।
মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলার বাসিন্দা রবীন্দ্র ২০১৭ সালে গ্বালিয়রের একটি টোল প্লাজ়ার কাছে কাজ করতেন। সেই সময়ই শশিভূষণ রাই নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। রবীন্দ্রের দাবি, দু’বছর পরে, ২০১৯ সালে শশীই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রের বক্তব্য, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে তাঁর নামে সেখানে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলিয়েছিলেন শশিভূষণ। ওই সময় তিনি রবীন্দ্রকে বলেছিলেন, তাঁর ‘প্রভিডেন্ট ফান্ড’-এর টাকা ওই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। এর পরে রবীন্দ্র দিল্লি থেকে গ্বালিয়রে ফিরে আসেন। তাঁর পরে কাজের জন্য পুণেতে চলে যান তিনি। দিল্লিতে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথাও ভুলে যান।
এর পরে দীর্ঘ দিন পুণেতেই কাজ করছিলেন তিনি। গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের বাড়ি থেকে একটি ফোন পেয়ে মাথায় হাত পড়ে যায়। বাড়ি থেকে তাঁকে জানানো হয়, আয়কর দফতরের নোটিস এসেছে। ওই নোটিসে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪০ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার লেনদেনের কথা উল্লেখ করা আছে। তবে এই প্রথম বার নয়, গত এপ্রিলেও আয়কর দফতর থেকে একই ধরনের একটি নোটিস পাঠানো হয়েছিল রবীন্দ্রের বাড়িতে। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যেরা সেটি বুঝতে না পেরে বাড়িতেই ফেলে রেখে দেন। পরে জুলাই মাসে ফের চিঠি আসায় ফোন করে রবীন্দ্রকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন:
পরিবারের সদস্যদের থেকে ওই ফোন পেয়েই পুণের কাজ ছেড়ে মধ্যপ্রদেশে ফিরে আসেন রবীন্দ্র। আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তিনি। রবীন্দ্রের দাবি, দিল্লিতে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলানোর সময়েই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় থানাতেও অভিযোগ জানান রবীন্দ্র। তবে সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’কে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি দিল্লিতে খোলা হয়েছিল। আর্থিক লেনদেনও সেখানেই হয়েছে। গ্বালিয়রে কিছু হয়নি। ওই পুলিশকর্মীর দাবি, অভিযোগকারীকে দিল্লিতে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। অন্য দিকে সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই সুবিধা না মেলায় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন ওই ব্যক্তি।