Advertisement
E-Paper

যৌনাঙ্গে গরম লোহার ছেঁকা, সঙ্গে মারধর, যৌতুক দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে মৃত্যু বধূর!

পুলিশ আধিকারিক ধনঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আমরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিশদে বলা যাবে।’’

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ২২:১৯
মারধর এবং নির্যাতনের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঙ্গীতার।

মারধর এবং নির্যাতনের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঙ্গীতার। —প্রতীকী চিত্র।

বিয়ের ১০ বছর পরেও পুত্রবধূর বাপের বাড়ির উপর যৌতুক নিয়ে চাপ চলতই। দিতে না-পারায় বাড়ির বৌকে অত্যাচারও করা হত বলে অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতি নির্মম ভাবে মারধর এবং নির্যাতনের কারণে সঙ্গীতা নামে ওই মহিলার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর যৌনাঙ্গ এবং সারা শরীরে গরম লোহা দিয়ে ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় একটি বাইক এবং মহিষের দাবি করেছিলেন মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু তা দিতে না-পারায় প্রায় রোজই অত্যাচার করা হত। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করতেন।

এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ৩২ বছর বয়সি সঙ্গীতার সঙ্গে বছর দশেক আগে আলিগড়ের বানুপুরা গ্রামের বাসিন্দা বান্টি কুমারের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। সঙ্গীতার মা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রথম এক বছর সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তার পর থেকেই বান্টি এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা অতিরিক্ত যৌতুকের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। প্রায়ই বাপের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র এবং নগদ নিয়ে আসার জন্য সঙ্গীতাকে বলতেন বান্টি। না নিয়ে গেলে মারধরও করতেন শ্বশুরবাড়ির সকলে মিলে। খুনের হুমকিও দেওয়া হত।

অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে বান্টি, তাঁর মা-বাবা এবং দুই বোন মিলে সঙ্গীতাকে খুব মারধর করেন। এমনকি, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং যৌনাঙ্গে গরম লোহা চেপে ধরা হয়। মারধর এবং নির্যাতনের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঙ্গীতার। পুলিশ আধিকারিক ধনঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আমরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিশদে বলা যাবে।’’ এই ঘটনায় পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই সঙ্গীতার শ্বশুরবাড়ি লোকেরা বাড়ি ছাড়া। তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে।

police investigation Death Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy