ওড়িশার বালেশ্বরের কলেজে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলেজের এবিভিপি নেতা সুভাত সন্দীপ নায়েক এবং জ্যোতিপ্রকাশ বিশ্বাল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফকির মোহন কলেজে অধ্যক্ষের ঘরের বাইরে যখন গায়ে আগুন দিয়েছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ধৃত দু’জন। এর আগে ওই কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
জুলাইয়ের শুরুতে ওড়িশার কলেজে অধ্যক্ষের ঘরের বাইরে গায়ে আগুন দেন এক ছাত্রী। শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। গত ১৫ জুলাই ভুবনেশ্বর এমসে মারা যান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে আমল দেননি। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, ওই অধ্যাপক তাঁকে যৌন হেনস্থার পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করছিলেন। তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করার হুমকি দিয়েছিলেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে আরও জানতে পেরেছে, অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে তাঁর ঘরের বাইরে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ছাত্রী। ওই অধ্যক্ষ তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেননি। উল্টে তাঁকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দিয়েছিলেন। ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, অধ্যক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, অভিযোগ ফিরিয়ে না নিলে তাঁকেই আত্মহত্যা করতে হবে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্যাতনে অভিযুক্ত অধ্যাপক অন্য পড়ুয়াদের নির্যাতিতার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলেছিলেন। ছাত্রীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে প্ররোচনা দিয়েছিলেন।