Advertisement
E-Paper

এ বার ডিজিসিএ! নথি-সহ ইন্ডিগোর সিইও-কে হাজিরার নির্দেশ, কেন্দ্র চাপ বৃদ্ধি করতেই ১১টি বিমানবন্দরে নজরদারি

ডিজিসিএ বুধবার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে, দেশের ১১টি বিমানবন্দরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যে এই কাজ সারতে হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে ডিজিসিএ-কে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০২
ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স।

ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স। — ফাইল চিত্র।

ইন্ডিগো বিভ্রাটের জেরে বিমান যাত্রীদের ভোগান্তি বুধবারও অব্যাহত। উড়ান বাতিল হওয়ার সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। এই প্রেক্ষাপটে এ বার ইন্ডিগো সংস্থার সিইও-কে হাজিরা দিতে বলেছে উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। উড়ান বাতিল সংক্রান্ত সব তথ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। দেশের বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের কতটা ভোগান্তি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে তৎপর হয়েছে ডিজিসিএ। আধিকারিকদের দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ঘুরে পরিস্থিতি দেখতে বলেছে তারা। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রক বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজিসিএ-র ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। মনে করা হচ্ছে, তার পরেই সক্রিয় হয়েছে এই সংস্থা। এর আগে ইন্ডিগোর সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু।

ডিজিসিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর দুপুরে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাদের দফতরে। উড়ান বিভ্রাট সংক্রান্ত সব নথিও নিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, পিটারের সঙ্গে সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকেরাও থাকবেন বৈঠকে। প্রসঙ্গত, উড়ান বিভ্রাট নিয়ে ডিজিসিএ-র উপরে চাপ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী নায়ডু জানান, শুধু ইন্ডিগো নয়, ডিজিসিএ-কেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও জানান, ইন্ডিগো বিপর্যয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে ডিজিসিএ, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি এ-ও স্পষ্ট করেন, প্রয়োজনে ইন্ডিগোর সিইও পিটারকে বরখাস্তও করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, চাপে পড়েই পিটারকে ডেকে পাঠিয়েছে ডিজিসিএ।

এ দিকে যাত্রী ভোগান্তির দিকেও নতুন করে নজর দিল ডিজিসিএ। বুধবার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে, দেশের ১১টি বিমানবন্দরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যে এই কাজ সারতে হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে ডিজিসিএ-কে। যে বিমানবন্দরগুলিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে আধিকারিকদের, সেগুলি হল— নাগপুর, জয়পুর, ভোপাল, সুরত, তিরুপতি, বিজয়ওয়াড়া, শিরডী, কোচি, লখনউ, অমৃতসর, দেহরাদূন। এই ১১টি বিমানবন্দরে গিয়ে আধিকারিকদের দেখতে হবে, বিভ্রাটের সময় কী ভাবে মোকাবিলা করেছেন কর্তৃপক্ষ, যাত্রীসুরক্ষা কতটা মানা হয়েছে। উড়ান বাতিলের পরে বিমানবন্দরে, বোর্ডংয়ের গেটে যাত্রীদের ভিড় কী ভাবে সামলাচ্ছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, তা-ও আধিকারিকদের দেখতে বলেছে ডিজিসিএ। ওই বিমানবন্দরগুলিতে হেল্পডেস্কে সব সময় কর্মী রয়েছেন কি না, যাত্রীদের সময় মতো সব তথ্য দেওয়া হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেছে ডিজিসিএ।

Directorate General of Civil Aviation (DGCA)
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy