গত কয়েক দিন ধরেই বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন-বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
রেলের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এবং তাকে কেন্দ্র ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জেরে আগামিকাল, শুক্রবার বিহার বন্ধের ঘোষণা করল অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আইসা)। এই বন্ধে সমর্থন জানিয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের বিরোধী জোট।
নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত কয়েক দিন ধরেই বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন-বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত কাল সেই বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করে। প্রচুর পরীক্ষার্থী গয়া স্টেশনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এমনকি একটি যাত্রিহীন প্যাসেঞ্জার এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারও ট্রেনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে ছাত্রদের বিরুদ্ধে।
ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদের প্রতিবাদ। প্রয়াগরাজে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বহু ছাত্র। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আন্দোলনকারী ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বহু সদস্য। এ ছাড়া বহু বিজেপি সমর্থকও আন্দোলনে শামিল হন। এই ঘটনায় কার্যত অস্বস্তিতে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
আইসা-র সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক সন্দীপ সৌরভ আজ জানান, রেলের তরফে যে কমিটি গঠনের পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। উদ্দেশ্য, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া। রেলে নিয়োগের ঘটনায় গত কাল থেকে সরব কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি। বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)-র প্রধান মায়াবতী আজ কেন্দ্রের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলে জানিয়েছেন, বিজেপির উদ্দেশ্য যুব সমাজ যাতে পকোড়া তৈরি করে। আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন। এর পাশাপাশি এই ঘটনা সরকারের ব্যর্থতারই প্রতিফলন বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy