সিমরণজিৎ সিংহ মান। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা বয়কটের আহ্বান করে বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ তথা শিরোমণি অকালি দল (অমৃতসর)-এর সভাপতি সিমরণজিৎ সিংহ মান। তাঁর দাবি, তেরঙ্গার বদলে ঘরে ঘরে শিখ সম্প্রদায়ের পতাকা ‘নিশান সাহিব’ উত্তোলন করা হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি বয়কটেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তেরঙ্গা বয়কটের দাবি তুলে সিমরণজিৎ বলেছেন, ‘’১৪ ও ১৫ অগস্ট ঘরে ঘরে নিশান সাহিব উত্তোলন করতে সকলকে অনুরোধ করছি।’’ এর পর তিনি দুর্ঘটনার মৃত গায়ক-অভিনেতা তথা আন্দোলনকারী দীপ সিধুর নাম নিয়ে বলেন, ‘‘দীপ সিধু, যিনি আমাদের মধ্যে আর নেই, বলেছেন, শিখ সম্প্রদায় স্বাধীন সম্প্রদায়।’’ পাশাপাশি, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘শত্রু পক্ষ’ এবং খলিস্তানি জঙ্গি জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালকে ‘শহিদ’ বলেও তকমা দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বিতর্ক ছড়িয়েছেন জঙ্গি হিসাবে ঘোষিত তথা ‘শিখ ফর জাস্টিস’-এর নেতা গুরপটবন্ত সিংহ পান্নুনও। একটি ‘বিতর্কিত’ ভিডিয়োবার্তায় পঞ্জাবের বাসিন্দাদের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে খলিস্তানি পতাকা উত্তোলন করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
সিমরণজিৎ এবং পান্নুরের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি-সহ আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা। এমনকি, সিমরণজিতের দলের একাংশও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বয়কটের আহ্বানের সমালোচনা করেছেন। আপের মুখপাত্র মলবিন্দর সিংহ কাংয়ের দাবি, ওই কর্মসূচি বয়কটের আহ্বান করে নিজের আসল পরিচয় দিয়েছেন সিমরণজিৎ। অন্য দিকে, পঞ্জাবের সঙ্গরুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সিমরণজিৎকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী শপথবাক্য পাঠ করে যাঁরা (সিমরণজিৎ) (সাংসদ হিসাবে) ঘুরে বেড়ানোর ভাতা পান, তাঁদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।’’ সিমরণজিতের দলের নেতা দলজিৎ চিমা বলেন, ‘‘ভারতের পতাকা সকলের জন্য। এবং পঞ্জাবিরা এ নিয়ে গর্ব করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy