Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Gyanvapi Masjid

জ্ঞানবাপীতে ‘খোঁজ’ চলবে দেবতাদের, ইলাহাবাদ হাই কোর্ট খারিজ করল মসজিদ কমিটির আর্জি

মসজিদ কমিটির যুক্তি ছিল, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন এবং ১৯৯৫ সালের সেন্ট্রাল ওয়াকফ আইন অনুযায়ী এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না।

Allahabad HC dismisses mosque committee\\\\\\\'s plea against maintainability of plea for regular worship of Shringar Gauri and other deities on Gyanvapi premises

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (ডান দিকে) এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (বাঁ দিকে)। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ১৮:২৪
Share: Save:

বারাণসী জেলা আদালতেই চলবে জ্ঞানবাপী মসজিদ-মা শৃঙ্গার গৌরী মামলার শুনানি। এ বিষয়ে পাঁচ মহিলা হিন্দু ভক্তের আবেদন খারিজের যে আবেদন ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র তরফে জানানো হয়েছিল, বুধবার তা খারিজ করে দিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।

২০২১-এর অগস্টের ওই আবেদনে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ওজুখানা এবং তহখানা-সহ ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে, তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত।

জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির তরফে পাঁচ হিন্দু মহিলার আবেদন খারিজ করার জন্য বারাণসী জেলা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। মসজিদ কমিটির আইনজীবী অভয় নাথ বারাণসী জেলা আদালতে জানিয়েছিলেন, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন এবং ১৯৯৫ সালের সেন্ট্রাল ওয়াকফ আইন অনুযায়ী, এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না। অন্য দিকে, হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি ছিল, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি জানান, ১৯৪৭ সালের পরেও শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পূজার্চনার প্রমাণ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সরকার উপাসনাস্থল সংক্রান্ত ওই আইন পাশ করেছিল। আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, স্বাধীনতার দিন থেকে দেশে যে সব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনও ভাবেই পাল্টানো যাবে না। কোনও মন্দিরের জায়গায় যেমন মসজিদ বানানো যাবে না, তেমনই মসজিদ সরিয়ে মন্দিরও বানানো যাবে না। প্রায় তিন দশক আগে কার্যকর হওয়া ওই আইনের ৫ নম্বর ধারায় জানিয়ে দেওয়া হয়, আইনটি অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ ওই আইনি লড়াই স্বাধীনতার আগে থেকেই চলছিল।

বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেস মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে দেন। হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে ২০২১-এর আবেদনের শুনানি চালিয়ে যাওয়ার রায় দেন গত সেপ্টেম্বরে। সেই রায়কে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। কিন্তু সেই আবেদনও বুধবার খারিজ হয়ে গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE