পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক মহিলার খোরপোশের আর্জি খারিজ করে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলা এক নামী সংস্থার সঙ্গে জড়িত। মাসে ৭৩ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। ৮০ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাটও কিনেছেন তিনি। এ অবস্থায় ওই মহিলা নিজের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট সক্ষম বলে মনে করছে আদালত।
উত্তরপ্রদেশের এই মামলাটির ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। স্বামী মাসে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উপার্জন করেন। বিবাহবিচ্ছেদের ওই মামলাটি প্রথমে উত্তরপ্রদেশের এক পারিবারিক আদালতে বিচারাধীন ছিল। সেখানে পারিবারিক আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, মহিলার খোরপোশ হিসাবে মাসে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া দম্পতির সন্তানের জন্য পৃথক ভাবে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে স্বামীকে। পারিবারিক আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী।
ওই মামলায় হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মহিলার ভরণপোষণের জন্য জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে না। এই সংক্রান্ত পারিবারিক আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। তবে দম্পতির সন্তানের জন্য মাসে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি সৌরভ লাভনইয়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মহিলা বর্তমানে প্রতি মাসে ৭৩ হাজার টাকা আয় করেন। আদালত মনে করছে, এই উপার্জন তাঁর নিজের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৮০ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। তার জন্য প্রোমোটারকে ওই মাসেই ৪৭ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছেন মহিলা। এ অবস্থায় মহিলার ভরণপোষণের জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ অসঙ্গত বলে মনে করছে হাই কোর্ট। তবে তাঁদের সন্তানের জন্য মাসে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশকে যুক্তিসঙ্গত বলেই জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশে জানিয়েছিল, স্ত্রীর আয় ভরণপোষণের দাবির ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না। শীর্ষ আদালতের ওই রায়ের কথাও উল্লেখ করেছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। তবে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এ ক্ষেত্রে মহিলার আয় তাঁর বৈবাহিক জীবনে জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা-ও দেখা প্রয়োজন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর মাসিক ৭৩ হাজার টাকা আয় তাঁর ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট। সেই কারণেই পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে আংশিক পরিবর্তন করেছে হাই কোর্ট।