গুজরাতে জঙ্গিযোগের সন্দেহে ধৃতকে জেলের ভিতরে মারধরের অভিযোগ উঠল অন্য বন্দিদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জঙ্গিযোগের সন্দেহে গুজরাতের অহমদাবাদ থেকে গ্রেফতার হন সঈদ আহমেদ মহিউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানি। তেলঙ্গানার ওই অভিযুক্ত বর্তমানে বন্দি রয়েছেন গুজরাতের সাবরমতী কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সংশোধনাগারের অপর তিন বন্দি চড়াও হন জিলানির উপর। সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’ অনুসারে, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবারের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে গুজরাতের কারা বিভাগের ডিজি কেএলএন রাওয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অহমদাবাদের রনিপ থানায় ইতিমধ্যে একটি এফআইআর রুজু হয়েছে। রনিপ থানার ইনস্পেক্টর কেতন ব্যাসও জানিয়েছেন এফআইআর রুজুর বিষয়ে। প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে, ইতিমধ্যে সংশোধনাগারের অন্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেছেন আধিকারিকেরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে উঠে এসেছে, তিন জনই চড়াও হয়েছিলেন জিলানির উপরে। বন্দিদের বয়ান থেকে এক অভিযুক্তকে শনাক্তও করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও বাকি দু’জনকে এখনও চিহ্নিত জানা যায়নি। দাবি করা হচ্ছে, কারা চড়াও হয়েছিলেন, তা জিলানিও নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছেন না আধিকারিকদের।
সাবরমতী কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কারা আধিকারিক ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’কে জানান, ‘দেশভক্তি দেখাতে গিয়েই’ ওই বন্দিরা চড়াও হয়েছিলেন জিলানির উপর। তবে ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সংশোধনাগারের অন্য বন্দিরা জিলানিকে উদ্ধার করেন। সূত্রের দাবি, মুখে চোট লেগেছে। জেলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় জিলানির।
আরও পড়ুন:
তবে কী কারণে এই হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাবরমতীর এক কারা আধিকারিকের কথায়, “কেন সঈদের উপরেই চড়াও হলেন ওই তিন বন্দি? তাঁদের কি কেউ কোনও নির্দেশ দিয়েছিলেন, নাকি জেলের ভিতরেই কেউ সঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তাঁদের জানিয়েছিলেন? এই বিষয়গুলি আমাদের গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।” প্রতিবেদন অনুসারে, সাবরমতী জেলের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে অহমদাবাদ পুলিশের অপরাধদমন শাখা। এই চড়াও হওয়া পূর্বপরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকেরা।
সম্প্রতি অহমদাবাদে এক অভিযানে জিলানি-সহ তিনকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। গত এক বছর ধরে তাঁদের উপরে নজর ছিল তদন্তকারীদের। গত ৯ ডিসেম্বর অস্ত্রের লেনদেন করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তাঁরা। গুজরাত এটিএস একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশের একাধিক শহরে সুপরিকল্পিত এবং বড়সড় হামলার ছক কষছিলেন এই তিন জন।