প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে তাঁর পরিবার। জানতে পেরে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার পরিবারের হাতে মার খেলেন এক যুবক। অভিযোগ, ওই যুবককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। প্রেমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁর প্রেমিকাও। অন্য দিকে, খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন, সেই ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণীর কাকাও।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মৌদাহের বাসিন্দা রবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আঠারো বছর বয়সি মনীষার। কিন্তু সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি মনীষার পরিবার। তারা অন্যত্র মনীষার বিয়ে ঠিক করে। সেই কথা জানতে পেরে বুধবার মনীষার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রবি। এই যুগলকে এক সঙ্গে দেখে রেগে যায় মনীষার পরিবার। চড়াও হয় রবির উপর। অভিযোগ, তাঁকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। মনীষার পরিবারের সঙ্গে যোগ দেন গ্রামবাসীরাও।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রবিকে এতটাই মারা হয়, শেষ পর্যন্ত জ্ঞান হারান। তখনই বিষয়ের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে যান মনীষার কাকা পিন্টু। মূলত তিনিই এই মারধর শুরু করেছিলেন। উত্তেজনা ছড়াতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পিন্টু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রবি এবং পিন্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে রবিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে পিন্টুর।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, প্রেমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনীষাও। বর্তমানে তিনিও চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মনীষার পরিবার। তাদের পাল্টা অভিযোগ, রবি বাড়িতে চড়াও হয়ে পিন্টুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। তাদের দাবি, মনীষা আগেও রবির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামে। হামিরপুরের পুলিশ সুপার দীক্ষা শর্মা জানান, পারচ্ছ গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের খবর মিলেছে। ঘটনাস্থলে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জন আহত। আরও এক তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।