আরও পড়ুন: চাকরি দিন, না হলে গদি ছাড়ুন, মোদীকে আক্রমণ রাহুলের
অমিতের বক্তব্য, জিএসটি চালুর পর প্রায় সব জিনিসেরই দাম বাড়ায় আমজনতা ক্ষুব্ধ। রিটার্ন ফাইলের জটিলতা, পোর্টালে গণ্ডগোল নিয়ে ব্যবসায়ীরা তিতিবিরক্ত। ফলে সময় মতো নিয়ম মেনে কর জমা দেওয়ার হার দ্রুত কমছে। জুলাইয়ে যা ছিল ৮০ শতাংশ, অক্টোবরেই তা ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে।
চড়া হারে জিএসটি এড়াতে সরকারি হিসেবের বাইরে ব্যবসা শুরু হয়েছে। তাতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমছে। প্রথম মাসে রাজস্ব আয় ছিল ৯৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই তা ৯৩ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এর সবথেকে বড় প্রমাণ, উৎসবের মাস হওয়া সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায় বাড়েনি। অথচ জিএসটি-র মূল লক্ষ্যই ছিল কর ফাঁকি বন্ধ করা, রাজস্ব আদায় বাড়ানো। অমিতের অভিযোগ, তাড়াহুড়ো না করার জন্য জুনে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তিনি সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
অমিতবাবুর সব অভিযোগ কার্যত মেনে নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রকও। নর্থ ব্লক সূত্রের বক্তব্য, অমিতবাবু তাঁর ৩০ অক্টোবরের লেখা চিঠিতে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ দিয়েই সব অভিযোগ তুলেছেন। যা অস্বীকার করা মুশকিল। তাই পাল্টা যুক্তি দিয়ে এখনও জবাবি চিঠি পাঠাননি জেটলি।
অর্থ মন্ত্রক নিজেই পরিস্থিতি সামলাতে মরিয়া। নোট বাতিলের পরে যেমন ঘনঘন নিয়ম বদল হয়েছিল, জিএসটি নিয়েও বারবার নিয়ম, করের হারে বদল করছে মোদী সরকার। জিএসটি পোর্টালে গণ্ডগোলের জন্য এই ঘনঘন বদলকেই দায়ী করেছে ভারপ্রাপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। একই যুক্তি অমিত মিত্রেরও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘যে হারে নিয়ম বদল হচ্ছে, অনলাইনের বদলে হাতে-কলমে হিসেব রাখতে হচ্ছে, তাতে আমরা এগিয়ে যাওয়ার বদলে প্রাক-ভ্যাট যুগে পিছিয়ে যাচ্ছি।’
অমিতের অভিযোগ, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে জিএসটি-তে আমজনতার রোজকার ব্যবহারের পণ্যেও ২৮ শতাংশ কর চেপেছে। এখন তা শোধরাতে গিয়ে আরও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। কোনও একটি পণ্যের হার কমানো হচ্ছে। কিন্তু একই গোত্রের অন্য পণ্য বাদ পড়ে যাচ্ছে।
অমিতবাবুর দাবি, বিলাসবহুল বা সিগারেটের মতো ক্ষতিকারক পণ্য বাদ দিয়ে বাকি যেখানে ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি চেপেছে, তা কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হোক। ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায় থাকা পণ্যে ১২ শতাংশ করা হোক।