বিহারেই থামলে চলবে না। নতুন লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু জয়। দলীয় কর্মীদের এই নতুন লক্ষ্য বেঁধে দিলেন খোদ অমিত শাহ।
বিহারে নির্বাচনের সঙ্গে যে নেতারা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাতে কাল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওই নৈশভোজের সময়ে বৈঠকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে আসন্ন নির্বাচনে জয়ের জোর দেন। সূত্রের দাবি, শাহ বলেন, ‘‘থামলে চলবে না। বিহারের পরে আমাদের লক্ষ্য বাংলা।’’
এ বারেও পশ্চিমবঙ্গকে ছ’টি এলাকা বা জ়োনে ভাগ করার রণনীতি নিয়ে এগোচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, প্রতিটি জ়োনে বিভিন্ন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-দের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে আরএসএসের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে রণকৌশল তৈরি করা সম্ভব হয়। বিহারের ভোটের ফলাফলের দিনেই বাংলার ভোটের আবহ তৈরি করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি, সেই ভোটের দামামা বাজাতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন ১৩-১৪ ডিসেম্বর হুগলির আরামবাগে সভা করতে যেতে পারেন মোদী।
গত কাল নিজের বক্তব্যে শাহ বিহারে জয়ের পিছনে দলগত সংহতিকেই মূল চাবিকাঠি হিসেবে চিহ্নিত করেন। পাশাপাশি, বিহারে জয়ের জন্য কেউ যাতে ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা না করেন, সেই কথা বলে সতর্কও করে দেন তিনি। শাহের পরামর্শ,কোনও নেতারই এই আত্মতুষ্টিতে ভোগা উচিত নয় যে, তাঁর কারণে জয় হয়েছে। সূত্রের দাবি, শাহ বলেন, ‘‘এ ধরনের আত্মতুষ্টি নেতাকে অহঙ্কারী করে তোলে।’’ বরং দলের যেখানে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে সেখানেই দলকে শক্তিশালী করা কর্মীদের কর্তব্য বলে পরামর্শ দেন তিনি। ভোটের কাজের জন্য সব নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন তিনি। সূত্রের বক্তব্য, শাহ বলেছেন, ‘‘বাংলার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকুন। যাঁকে যেখানে খুশি দলের কাজে পাঠানো হতে পারে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)