নিহত অঙ্কিতা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
দুমকার তরুণী অঙ্কিতা সিংহের খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্তের অগ্রগতি জানার জন্য মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশের ডিজিকে তলব করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রবি রঞ্জন তাঁর নির্দেশ ঘোষণা করতে গিয়ে জানান, পুরো ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা উদ্বেগের।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত মঙ্গলবার (২৩ অগস্ট) ভোররাতে দুমকার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতার গায়ে পেট্রল ঢেলে শাহরুখ নামে এক যুবক আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ওই তরুণীকে ভর্তি করানো হয়েছিল দুমকা মেডিক্যাল কলেজে। পরে তাঁকে রাজধানী রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরেই শাহরুখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে কিছু দিন আগেই অঙ্কিতার পরিবার শাহরুখের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। দুমকার ডিএসপি নূর মুস্তাফা এফআইআর দায়ের না করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমবারই হেমন্ত সোরেন সরকার মুস্তাফাকে সাসপেন্ড করেছে।
অঙ্কিতার চিকিৎসাতেও গাফিলতি হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সম্প্রতি, নূপূর শর্মার মন্তব্যের পর রাঁচীতে বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে আহত বিক্ষোভকারীদের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি পাঠানো হয়েছিল দাবি করে বিরোধী দলনেতা বাবুলাল মরান্ডীর প্রশ্ন, অঙ্কিতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেন সেই ‘তৎপরতা’ দেখায়নি হেমন্ত সরকার?
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিরুদ্ধে লাভজনক পদের অভিযোগ এবং একাধিক বিধায়কের শিবির-বদলের জল্পনায় চাপে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশ হেমন্ত সরকারের বিড়ম্বনা বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy