ওড়িশায় কলিঙ্গ শিল্পপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ফের উদ্ধার হল এক পড়ুয়ার দেহ। রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম রাহুল যাদব। ১৮ বছর বয়সি ওই তরুণের বাড়ি ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই হস্টেলে। কী কারণে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই ছাত্র। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভুবনেশ্বরের এই বিশ্ববিদ্যালয় এর আগেও পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছিল। চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বার বার এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের নজরদারির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ভুবনেশ্বর-কটক পুলিশ কমিশনারেট। সোমবারের ওই বিবৃতিতে কমিশনারেট জানায়, রবিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ স্থানীয় থানায় খবর যায়। পুলিশকে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ নম্বর ক্যাম্পাসে একটি হস্টেলের ঘরে এক পড়ুয়ার দেহ ঝুলতে দেখা গিয়েছে।
সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। হস্টেলের ওই ঘরটি তখন ভিতর থেকে বন্ধই ছিল। পুলিশ সেই দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং দেহটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হস্টেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনা ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হস্টেল থেকে রাহুলের মোবাইল এবং ল্যাপটপটিও তদন্তের জন্য বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয় হস্টেলের ঘরটিও। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন:
দেহ উদ্ধারের পরে ছত্তীসগঢ়ে ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ভুবনেশ্বরে পৌঁছোনোর পরেই ময়নাতদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।
এর আগে দুই নেপালি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরেও বিতর্কে জড়িয়েছিল ভুবনেশ্বরের এই বিশ্ববিদ্যালয়। পদক্ষেপ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-ও। কেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বা আইনি পদক্ষেপ করা হবে না, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তার ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইউজিসি। দুই পড়ুয়ার মৃত্যুরহস্য খতিয়ে দেখতে একটি অনুসন্ধানী দলও গঠন করেছিল ইউজিসি।