Advertisement
E-Paper

দুবাই বিপর্যয়ের জের, তেজসের বদলে চিনা জেএফ-১৭-র মোকাবিলায় রুশ সুখোইয়ে আস্থা রাখতে পারে আর্মেনিয়া

গত শুক্রবার দুবাইয়ের আল মাকতুম বিমানঘাঁটিতে এয়ার শো’তে কসরত দেখানোর সময় আচমকাই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে হ্যাল নির্মিত তেজস এমকে-১ যুদ্ধবিমান। প্রাণ হারান ককপিটে থাকা উইং কমান্ডার নমন স্যাল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১১:২৯
(উপরে) তেজস এবং সুখোই-৩০ (নীচে)।

(উপরে) তেজস এবং সুখোই-৩০ (নীচে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দুবাইয়ের এয়ার শো-তে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজস ভেঙে পড়ার পরেই নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছিল আর্মেনিয়া। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, পড়শি দেশ আজ়ারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেজসের বদলে এ বার রাশিয়ায় তৈরি সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান কিনতে পারে আর্মেনিয়া।

গত শুক্রবার দুবাইয়ের আল মাকতুম বিমানঘাঁটিতে এয়ার শো’তে কসরত দেখানোর সময় আচমকাই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে হ্যাল নির্মিত তেজস এমকে-১ যুদ্ধবিমান। প্রাণ হারান যুদ্ধবিমানটির ককপিটে থাকা উইং কমান্ডার নমন স্যাল। এর পরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে প্রতিরক্ষা স্টকগুলির উপর। গত বছর থেকে তেজস যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে চলা আলোচনা আর্মেনিয়া একতরফা ভাবে স্থগিত করা তার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত মধ্য এশিয়ার দুই দেশ, আজ়ারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘাত চলছে গত আড়াই দশক ধরে। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে ২০২২ সাল থেকে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে মুসলিম দেশ আজ়ারবাইজান এবং খ্রিস্টান গরিষ্ঠ আর্মেনিয়ার মধ্যে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে গত বছর আজ়ারবাইজান পাকিস্তান থেকে চিনা সহযোগিতায় নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কিনেছে। তার ‘জবাব’ দিতে আর্মেনিয়া সরকার তেসজ কেনার জন্য নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।

উৎকর্ষের মাপকাঠিতে হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলনায় আসে চিনা জেএফ-১৭। বেঙ্গালুরুর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যালস লিমিটেড’ (হ্যাল)-এর তৈরি তেজস মার্ক-১ ভারতীয় সেনা ব্যবহার করে। এই যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সম্প্রতি প্রস্তাব এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। ‘অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যান্‌ড অ্যারো রেডার’ (এএসইএ), মিড এয়ার ফুয়েলিং এবং ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত তেজসের নয়া সংস্করণ মার্ক-২ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে এগিয়ে জেএফ-১৭-র তুলনায় এগিয়ে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে। সেগুলি কিনতেই আগ্রহী ছিল আর্মেনিয়া। কিন্তু সেই আগ্রহে দুবাই-বিপর্যয় ‘জল ঢেলেছে’ বলেই প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার তৈরি মাঝারি ওজনের যুদ্ধবিমান এসইউ-৩০ এমকেআই-ও ভারতীয় বায়ুসেনা প্রায় দু’দশক ধরে ব্যবহার করছে।

LCA Tejas Tejas Tejas Mark 1A JF-17 Fighter Jet JF-17 Su-30 MKI Sukhoi Fighter Jets Sukhoi-30 Sukhoi 30 IAF Armenia Armenia-Azerbaijan Conflict Azerbaijan Russia CAC/PAC JF-17 Thunder Defence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy