—ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে নেপালের প্রতি ‘কূটনৈতিক অযত্নের’ দাম ভারতকে দিতে হয়েছে বলেই মনে করছিলেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এ বার হাত পোড়ানোর পরে, সাউথ ব্লকের নড়ে চড়ে বসার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি দু’দেশের সম্পর্কের বরফ গলে নতুন প্রাণসঞ্চারের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করছে বিদেশ মন্ত্রক।
আগামিকাল কাঠমান্ডু সফরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে। নেপালের সেনাপ্রধান পূর্ণ চন্দ্র থাপার আমন্ত্রণে তিনি যাচ্ছেন সে দেশের সেনার পক্ষ থেকে সাম্মানিক পদ গ্রহণ করতে। এর আগেই নেপাল থেকে ঘুরে এসেছেন র’-এর প্রধান। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, দু’দেশের মধ্যে যে ইতিবাচক আবহওয়া তৈরি হচ্ছে এটাই দু’মাস আগে ভাবনার বাইরে ছিল। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই ভারত এবং নেপালের মধ্যে থমকে থাকা ‘বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর বৈঠকও বসবে।
ভারতীয় এলাকা কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের মানচিত্রে ‘জুড়ে’ নেপালের পার্লামেন্টে বিল পাশ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। পাশাপাশি দক্ষিণ নেপালের বীরগঞ্জ জেলার অযোধ্যা গ্রামকে রামের জন্মস্থান বলে দাবি করেও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। ওলির এমন আচরণের পিছনে চিনের উস্কানি রয়েছে বলেই ধারণা ভারতের। তবে খেলা ঘুরে যায় অগস্টে ওলি সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক বলরাম বানিয়া খুনের পরে নেপাল জুড়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়।
একটি নেপালি দৈনিকের সহকারী সম্পাদক বলরাম সম্প্রতি ‘তথ্যপ্রমাণ’ পেশ করে দাবি করেছিলেন, সীমান্ত পেরিয়ে এসে চিনা সেনা নেপালের গোর্খা জেলার রুই গ্রাম দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সব জেনেও বিষয়টি গোপন করছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সরকার। এই ঘটনার পরে কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। আপাতত সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেপালের কাছ থেকে পুরনো আস্থা ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু করতে চলেছে নয়াদিল্লি। যদিও এক বার নেপালের সংসদে পাশ হওয়া মানচিত্রের বদল ঘটিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের তিনটি এলাকা কী ভাবে ফেরৎ পাওয়া যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয় সাউথ ব্লকের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy