Advertisement
০২ মে ২০২৪
akhilesh yadav

সাজানো এনকাউন্টার! যোগীর পুলিশের গুলিতে প্রাক্তন সাংসদের পুত্রের মৃত্যুতে বললেন অখিলেশ

টুইটারে অখিলেশ লেখেন, সাজানো এনকাউন্টার করে বিজেপি সরকার আসল সমস্যা থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে। আদালতের উপর বিজেপির কোনও আস্থা নেই।

Asad Ahmad killing: Samajwadi Party chief Akhilesh Yadav slams BJP and Uttar Pradesh CM Yogi Adityanath over ‘false police encounter’

উত্তরপ্রদেশে পর পর পুলিশি সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলেলেন অখিলেশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫৭
Share: Save:

পাঁচ বারের বিধায়ক। এক বারের সাংসদ। অথচ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কয়েকটি অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত আতিক আহমেদকে গোড়া থেকেই ‘গ্যাংস্টার’ তকমা দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার ঝাঁসিতে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আতিকের পুত্র আসাদ আহমেদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলামের।

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এ বার সেই ঘটনা নিয়ে নিশানা করলেন শাসকদল বিজেপিকে। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক বছরে যোগীর পুলিশ যে ছক মেনে একের পর এক সাজানো সংঘর্ষে খুন করেছে, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।

টুইটারে অখিলেশ লেখেন, ‘‘সাজানো এনকাউন্টার করে বিজেপি সরকার আসল সমস্যা থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি আদালতে মোটেও বিশ্বাস করে না। আজকের এবং সাম্প্রতিক এনকাউন্টারগুলির নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। দোষীরা যাতে রেহাই না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনটি ঠিক বা ভুল তা নির্ধারণ করার অধিকার ক্ষমতাসীনের নেই। বিজেপি সৌভ্রাতৃত্বের বিরুদ্ধে।’’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন বিধায়ক রাজু পালের হত্যার ঘটনায় একমাত্র সাক্ষী উমেশ পাল। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উমেশের দুই নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয়। উমেশ খুনে অভিযোগ ওঠে আতিক, তার ভাই আশরফ, পুত্র আসাদ এবং গুলাম-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আগেই পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু হয়েছিল দুই অভিযুক্তের। এ বার মৃত্যু হল আসাদের।

যোগীর জমানায় প্রেমপ্রকাশ পাণ্ডে, বিকাশ দুবে-সহ একাধিক ‘পুলিশি এনকাউন্টার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপে গড়িমসি করার অভিযোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘এনকাউন্টার নীতি’র সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘‘বিজেপির এক মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে ‘ঠোক দো’ (গুলি করে মারো) বলে বেআইনি হত্যায় মদত দিচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE