গায়ক জ়ুবিন গর্গের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে ‘ন্যায়বিচারের’ দাবি তোলা আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি যদি আজই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিই, তা হলে ৫০ শতাংশ আন্দোলন সঙ্গে সঙ্গে থেমে যাবে। আর যদি (কংগ্রেস নেতা) গৌরব গগৈকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, তা হলে বাকি ৫০ শতাংশও বন্ধ হবে।” মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বর্তমান এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য জ়ুবিনের ন্যায়বিচার নয়।
হিমন্তের দাবি, জ়ুবিনের প্রকৃত ভক্তদের সঙ্গে তাঁর মৃত্যুর পরে গজিয়ে ওঠা নতুন গোষ্ঠীর পার্থক্য স্পষ্ট। জ়ুবিন যখন বেঁচে ছিলেন, তখন যাঁরা তাঁকে সত্যিই ভালবাসতেন, তাঁরা আলাদা। এখন তাঁর মৃত্যুর পরে এমন এক দল সামনে এসেছে, যাঁরা জীবিত অবস্থায় তাঁর সমালোচনা করতেন। ‘প্রকৃত ভক্তদের’ উদ্দেশে হিমন্ত আহ্বান জানান, যাঁরা সত্যিই জ়ুবিনকে ভালবাসতেন, তাঁরা যেন প্রকৃত উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামেন। তিনি আরও জানান, জ়ুবিনের মৃত্যু সংক্রান্ত মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি হবে। জ়ুবিনের মৃত্যুর তদন্তে গঠিত অসমের বিশেষ তদন্তকারী দলের কর্তা সিআইডির বিশেষ ডিআইজি মুন্নাপ্রসাদ গুপ্ত ও তরুণ গয়াল সোমবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। সূত্রের মতে, তাঁরা সিঙ্গাপুর পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জ়ুবিন যে হোটেলে ছিলেন, সেখানকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারেন। জ়ুবিনের মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ মুহূর্তগুলির সবিস্তার তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবেন তাঁরা।
গুয়াহাটির দিঘলিপুখুরির চার ধারের গাছ কাটার সম্ভাবনা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল অসমে। হিমন্তের দাবি, দিঘলিপুখুরির চারপাশে একটি গাছও কাটা হয়নি। জ়ুবিনকে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন, ঐতিহাসিক এই পুকুরের চারপাশের গাছ সংরক্ষিত থাকবে। কোনও গাছ পড়ে যায়নি। অসমিয়া অভিনেতা রবি শর্মা গাছ কাটার অভিযোগ তোলেন। হিমন্তের অভিযোগ, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)