প্রতীকী ছবি।
দুই রাজ্যের সীমানা নয়, এ যেন আন্তর্জাতিক সীমান্ত! বৃহস্পতিবার অসম সরকার সে রাজ্যের মানুষকে মিজোরামে যেতে নিষেধ করে নির্দেশিকা জারি করেছিল। এর পরেই দুই রাজ্যের সীমানায় চেকপোস্ট বসিয়ে মিজোরাম থেকে আসা সমস্ত যানবাহন তল্লাশি শুরু করেছে অসম পুলিশ। ঠিক যে ভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে আসা যানবাহনে তল্লাশি চালায় বিএসএফ।
অসম পুলিশের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, মিজোরামে সক্রিয় ড্রাগ পাচারচক্রকে ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে এই উদ্যোগ। মিজোরামের ড্রাগ মাফিয়ারা নিয়মিত অসমে ড্রাগ পাচার করছে বলেও জানিয়েছেন অসম পুলিশের এডিজি (অতিরিক্ত মহানির্দেশক) জি পি সিংহ। তাঁর দাবি, গত দু’মাসে ড্রাগ পাচারের ৯১২টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১,৫৬০ জনকে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ড্রাগ-চক্র মিজোরাম-সহ অন্য এলাকা থেকে হানা দিচ্ছে। আমরা তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থে জনগণকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি’।
Continuing our offensive against drug cartels operating from Mizoram and beyond, we’ve decided to up the ante. Request people to cooperate in the interest of Gennext of our country. @assampolice pic.twitter.com/AQ0JCpJ1Cj
— GP Singh (@gpsinghips) July 29, 2021
তবে সোমবারের সংঘর্ষের জেরেই অসম সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে। সে দিন অসমের কাছাড় জেলার ইনার লাইন সংরক্ষিত অরণ্য ঘেরা মিজোরাম সীমানায় দুই রাজ্যের পুলিশের গুলির লড়াইয়ে অসম ছ’জন পুলিশকর্মী নিহত হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার অসম পুলিশের তরফে এর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংঘর্ষের ঘটনার পরেও কিছু মিজোরামের কিছু পড়ুয়া, যুব সংগঠন এবং মিজো সমাজের কিছু মানুষ ক্রমাগত অসম সরকার এবং অসমের মানুষের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বিবৃতি দিচ্ছে। অসম পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে মিজোরামের বেশ কিছু মানুষ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত’।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা অবশ্য সোমবারের ঘটনার জন্য অসম পুলিশকে দুষেছেন। তাঁর অভিযোগ প্রথমে গুলি চালিয়েছিল পড়শি রাজ্যের পুলিশবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই গুয়াহাটি প্রশাসন অভিযোগ তুলছে, কাছাড় জেলায় সীমানা পেরিয়ে অসম বন দফতরের জমি জবরদখল করছে স্থানীয় মিজো গ্রামবাসীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy