চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বাঁধার সম্ভাবনার কথা খারিজ করে দিল বাংলাদেশ। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে পড়শি ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টাও তারা করছে না বলে দাবি করেছে ঢাকা।
গত ১৬ জুন চিনের কুনমিঙে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেয় চিন, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের উপবিদেশমন্ত্রী সান ওয়েডং, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী বিদেশ সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকি এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত বিদেশ সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব আমনা বালোচও।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “ওটা সরকারি স্তরে হওয়া একটি বৈঠক ছিল। কোনও রাজনৈতিক স্তরের বৈঠক নয়।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না।” ভারতকে কোণঠাসা করতেই এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক কি না, এই প্রশ্ন ধেয়ে এসেছিল তৌহিদের দিকে। জবাবে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের এই কর্তা বলেন, “এটা কোনও তৃতীয় পক্ষকে কোণঠাসা করার বিষয় নয়। এটা আমি আপনাদের নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি।”
আরও পড়ুন:
বৈঠকে তিন দেশই বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও জোরদার করার ডাক দেয়। এই প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তান চিন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নত করার কথা জানায় পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই ঢাকা-ইসলামাবাদ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মেঘ কেটে যাওয়ার ইঙ্গিত মেলে। অন্য দিকে, গত মার্চ মাসে বেজিং সফরে যান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস। চিনকে বাংলাদেশের একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।