Advertisement
০১ মে ২০২৪
Shirdi Temple

শিরডি সাইবাবার মন্দিরে জমা পড়া কয়েন গুনতে হিমশিম ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ দাবি

ট্রাস্ট জানাচ্ছে, প্রতিদিন ৫০ পয়সা থেকে শুরু করে ১০ এবং ২০ টাকার কয়েন জমা পড়ে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। মাসে একদিন ব্যাঙ্ক থেকে লোক এসে সেই কয়েন নিয়ে যান।

File image of Shirdi Sai Temple

কয়েন নিয়ে ঘোর সমস্যায় শিরিডির সাইবাবার মন্দির। — ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৪১
Share: Save:

কয়েন গুনতে গুনতে হিমশিম অবস্থা ব্যাঙ্ককর্মীদের। পরিস্থিতি এমনই যে, বাকি সমস্ত কাজ বন্ধ রেখে দিনভর কয়েন গুনতে হচ্ছে কর্মীদের। শিরডি সাইবাবার মন্দিরে জমা পড়া কয়েন নিয়ে এখন নাকানিচোবানি খাচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। নতুন কয়েন জমা নেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা।

প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী যান শিরিডি সাইবাবার মন্দিরে। সেখানে প্রায় সবাই কয়েন দান করেন সাধ্যমত। এত দিন কোনও রকমে সেই কয়েন নিয়ে গিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দিতেন শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি কয়েন নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।

শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের নামে মোট ১৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি অ্যাকাউন্ট শিরডিতে। একটি অ্যাকাউন্ট নাসিকে। সবক’টি অ্যাকাউন্টই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। বর্তমানে এই ব্যাঙ্কগুলিতে শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের ১১ কোটি টাকা জমা হয়ে আছে। গোটাটাই কয়েনে। জানা গিয়েছে, চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আর কয়েন জমা নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, রাখার জায়গা নেই। শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের সিইও রাহুল যাদব বলেন, ‘‘এই ব্যাঙ্কগুলির ম্যানেজারেরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ কয়েন জমা হচ্ছে তাতে ব্যাঙ্কে তা রাখার মতো জায়গা অবশিষ্ট নেই।’’ এই পরিস্থিতিতে ট্রাস্টের কাছে জমা রাখা হচ্ছে কয়েন। সেখানেও স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ট্রাস্ট সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানাতে চলেছে। পাশাপাশি, আহমেদনগর জেলায় অন্যান্য ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ করা শুরু করেছেন মন্দির ট্রাস্টের কর্তারা।

কত কয়েন জমা হয় মন্দিরে? ট্রাস্ট জানাচ্ছে, প্রতিদিন ৫০ পয়সা থেকে শুরু করে বহু ১০ এবং ২০ টাকার কয়েন জমা পড়ে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে একদিন ব্যাঙ্ক থেকে লোক এসে সেই কয়েন সংগ্রহ করে নিয়ে যান। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, কয়েন ভরা ব্যাগ রাখার আর জায়গা নেই।

শিরিডির সাইবাবার মন্দিরে কয়েন নিয়ে সমস্যা আজকের নয়। ২০১৯ সালে ব্যাঙ্কগুলি এ নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেছিল। সেই সময় মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে জানানো হয়, তাঁরা মন্দির চত্বরেই কয়েন রাখার জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু নিয়মের দোহাই দিয়ে ব্যাঙ্কগুলির তরফে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shirdi Temple Coins
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE