Advertisement
২৪ মে ২০২৪
Murder

সম্পর্ক ভেঙে মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, বাধা দেওয়ায় সমকামী সঙ্গীকে খুন যুবকের

পুলিশ জানিয়েছে, ইলিয়াজ়ের সমকাম সম্পর্কের কথা তাঁর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও জানতেন না। ফলে বাড়ি থেকে ইলিয়াজ়ের জন্য সম্বন্ধ দেখা শুরু হয়।

businessman murdered

ব্যবসায়ী সঙ্গীকে খুন যুবকের। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৩
Share: Save:

সমকাম সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার ভয়ে ব্যবসায়ী সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ইলিয়াজ় খান।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ছাব্বিশের ইলিয়াজ়ের সঙ্গে সমকাম সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বছর চুয়াল্লিশের লিয়াকত আলি খানের। লকডাউনে গড়ে ওঠা সম্পর্ক দু’বছর ধরে চলার পর আচমকাই ইলিয়াজ় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানান লিয়াকতকে। বিষয়টি নিয়ে দুই সঙ্গীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ধীরে ধীরে সম্পর্কে টানাপড়েন বাড়তে থাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ইলিয়াজ়ের সমকাম সম্পর্কের কথা তাঁর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও জানতেন না। ফলে বাড়ি থেকে ইলিয়াজ়ের জন্য সম্বন্ধ দেখা শুরু হয়। এক তরুণীর সঙ্গে ইলিয়াজ়ের বিয়ের কথা পাকা হয়ে যায়। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছে, এ কথা লিয়াকতের কাছে গোপন করে যান ইলিয়াজ়। সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হতেই লিয়াকতের সন্দেহ হয়। তিনি খোঁজখবর করে জানতে পারেন, ইলিয়াজ়ের বিয়ে স্থির হয়ে গিয়েছে। আর তার পর থেকেই অশান্তি চরমে ওঠে। লিয়াকত ওই সম্পর্ক ভাঙতে অস্বীকার করেন। ইলিয়াজ় ভয় পেয়ে যান। তাঁর ভয় ছিল এই সম্পর্কের কথা জানতে পারলে বিয়ে ভেস্তে যাবে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের কাছে মাথা হেঁট হয়ে যাবে। সেই আশঙ্কাকে চাপা দিতে তিনি লিয়াকতকে খুন করেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন দু’জনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। তার পরই দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, এর পরই রাগের বশে লিয়াকতকে হাতুড়ি এবং ছুরি দিয়ে খুন করেন ইলিয়াজ়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder bengaluru
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE