ভোপালের সরকারি ভবনে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: পিটিআই।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এল ভোপালের সরকারি ভবনের আগুন। বায়ুসেনার হস্তক্ষেপের পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিল সেনা এবং বায়ুসেনা।
ভোপালের সাতপুরা ভবনে সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ আগুন লেগেছিল। গভীর রাত পর্যন্তও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তার পর বায়ুসেনার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলে অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতি জানান তিনি। বায়ুসেনার সাহায্য চান। মধ্যরাতেই বায়ুসেনার বিশেষ বিমান ভোপালে পৌঁছয়। তাঁদের হস্তক্ষেপের পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সাতপুরা ভবনে মধ্যপ্রদেশ সরকারের একাধিক কার্যালয় রয়েছে। তিন তলায় আদিবাসী কল্যাণ দফতরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আগুন লেগেছিল। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পরে অন্যান্য তলাতেও। ওই ভবনে থাকা বেশ কয়েকটি বাতানুকূল যন্ত্র এবং গ্যাস সিলিন্ডার আগুনের সংস্পর্শে আসে এবং বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারছিল না। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতর-সহ সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের নথিপত্র আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই। আগুন লাগার পর সকলকেই সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সরকারি সূত্র অনুয়ায়ী, সাতপুরা ভবনে আদিবাসী কল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং পরিবহণ, তিনটি সরকারি দফতরের অফিস ছিল। তিনটি দফতরই ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কী ভাবে সরকারি ভবনে আগুন লাগল, তার তদন্তের জন্য মধ্যপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ভোপালের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আগুন লেগেছে শর্ট সার্কিট থেকে। তবে তদন্তের পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy