হাতঘড়ি, আসবাবপত্র, মোটরবাইক কিংবা টাকা-গয়না— পণ হিসাবে এই সমস্ত জিনিস আদানপ্রদানের কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু এ বার পর্যাপ্ত টাকা-গয়না না পেয়ে পুত্রবধূর কিডনি চেয়ে বসলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিহারের মুজফ্ফরপুরের এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণী।
পুলিশকে দীপ্তি নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাপের বাড়ি থেকে টাকা-গয়না আনার জন্য চাপ দিতেন। এক বার নাকি বাইকও কিনে দিতে বলেন। তরুণীর অভিযোগ মোতাবেক, তিনি এগুলি দিতে না-পারায়, তাঁকে স্বামীর জন্য একটি কিডনি দিতে বলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দীপ্তি তাতে রাজি না-হওয়ায় তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। দীপ্তির বয়ান অনুসারে, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতে থাকে শ্বশুর-শাশুড়ি। এর মধ্যেই বিয়ের বছর দুয়েক পরে ওই তরুণী জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর একটি কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না। সেই সময় থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে স্বামীর চিকিৎসার জন্য কিডনি দিতে বলে আসছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পেয়েই দু’পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই তরুণী বিবাহবিচ্ছেদ চান। স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করেন। এই পরিস্থিতিতে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।