এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল পটনায়। মৃতার নাম সোনম কুমারী। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বছর কুড়ির ওই ছাত্রী রাজ্যের মুঙ্গের জেলার বরিয়ারপুর ব্লকের বাসিন্দা। বুধবার কলেজের হস্টেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল নন্দনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। শুধু হেনস্থাই নয়, ছাত্রীকে নানা ভাবে হুমকিও দিতেন বলে অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তার জেরেই ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সহপাঠীদের দাবি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকিও দিতেন। বুধবার রাতে সোনম কুমারী হস্টেলের চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, গুরুতর আহত অবস্থায় আধঘণ্টা পড়ে ছিলেন সোনম। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেননি অধ্যক্ষ। কলেজের গাড়িও দিতে চাননি। পরে সোনমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর বুধবার রাতে পড়ুয়াদের ক্ষোভ আর প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অধ্যক্ষের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ। রাতভর কলেজে ধর্নায় বসেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
নালন্দার পুলিশ সুপার ভরত সোনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষও আশ্বাস দিয়েছেন যদি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং বাকি সব অভিযোগ প্রামাণিত হয়, তা হলে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।