Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Bilkis Bano

Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট

দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানো-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়।

আগামী দু’সপ্তাহ পর  আবার এই মামলার শুনানি হবে।

আগামী দু’সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ১১:৫০
Share: Save:

বিলকিস বানো-কাণ্ডে ১১ দোষীর মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত মামলায় গুজরাত সরকারকে বৃহস্পতিবার নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১১ ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১১ দোষীকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী দু’সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে।

গত ২৩ অগস্ট, মঙ্গলবার বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্ররা। মামলাটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অপর্ণা ভট্ট।

এর আগে, দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানো-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন এক অপরাধী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। এর পরই গোধরা জেল থেকে ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। অপরাধীদের ফুল, মালা, মিষ্টিতে শুধু বরণ করে নেওয়াই হয়নি, তাদের ব্রাহ্মণ পরিচয় দেখিয়ে সংস্কারী আখ্যাও দিয়েছেন বিজেপির এক বিধায়ক। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়।

আক্ষেপের সুরে বিলকিস বলেছেন, ‘‘১৫ অগস্ট বিগত ২০ বছরের আতঙ্ক আবার আমাকে গ্রাস করল, যখন আমি শুনলাম আমার জীবন, আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া ১১টা লোক মুক্তি পেয়ে গেল, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখনও বোবা হয়ে আছি।’’ বিলকিসের দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক সুপ্রিম কোর্ট— এই আর্জি জানিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সই সংগ্রহ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bilkis Bano Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE