গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে হারিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। কিন্তু মঙ্গলবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত হাল ছাড়তে নারাজ আপ। পড়শি হরিয়ানায় সাড়ে তিন মাস আগে বিধানসভা ভোটে বুথফেরত সমীক্ষার পরিণতির দিকে আঙুল তুলে দলের নেতাদের দাবি, ‘এগজিট পোল’ আসলে ‘একজ্যাক্ট’ ফলাফল নয়।
ভারতে ভোটের ইতিহাস বলছে, আসল ফলের সঙ্গে বুথফেরত সমীক্ষা অনেক সময়েই মেলে না। তবে ফলাফল মিলে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। আসল ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গণনার দিন পর্যন্ত। বুধবার অবশ্য যুযুধান সব দলই জয়ের দাবি করেছে।
বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেখানে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৩৬। সন্ধ্যার দিকে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে বিভিন্ন সংস্থা। অধিকাংশ সমীক্ষার ফলেই ইঙ্গিত, জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারবেন না কেজরীওয়াল। অধিকাংশ সমীক্ষাতেই বিজেপিকে (সহযোগী-সহ) ৩৫ থেকে ৫০টির মধ্যে আসন দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এ বার আপ, কংগ্রেস এবং মায়াবতীর বিএসপি (বহুজন সমাজ পার্টি) ৭০টি আসনেই লড়ছে। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮টি আসনে। একটি করে আসন ছেড়েছে এনডিএ’র দুই সহযোগী, জেডিইউ এবং এলজেপি (রামবিলাস)-কে।
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপ প্রায় সাড়ে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬২টি আসন জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল ৮টিতে। পেয়েছিল সাড়ে ৩৮ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস শূন্য হাতে ফিরেছিল মাত্র ৪.২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে। এ বারও কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে কি না, স্পষ্ট নয়। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা দলকে বেশ কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষায় ‘শূন্য’ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে টানা তিন বার দিল্লিতে ‘শূন্য’ হাতে ফিরবে রাহুল গান্ধীর দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy