তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’র প্রদর্শনী করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির সংসদীয় ও পরিষদীয় দল। কয়েক দিন আগে বিধানসভার বাইরে রাস্তায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কেরা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে এমন প্রদর্শনী করেছিলেন। এ বার একই রকম প্রদর্শনী হল শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। যদিও তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার যে ভিডিও ২০১৬ সালে বিজেপি দফতর থেকে প্রকাশ করা হয়, তা এই প্রদর্শনীতে সবার আগে স্থান পাওয়া উচিত!
আইনসভার বাইরে শুধু মাত্র জনপ্রতিনিধিদের এমন পৃথক কর্মসূচি বিজেপিতে ‘বিরল’ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। দলের অন্দরে শোনা যাচ্ছিল, দলের সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব বাড়ছে। জনপ্রতিনিধিদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের শরিক করা হয় না বলে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল ভাল না হলে ‘দায়’ বর্তাবে তাঁদের উপরে। কিন্তু সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারা জেলায় কিংবা মণ্ডল স্তরে হয় কর্মসূচি নিচ্ছেন না, নিলেও জনপ্রতিনিধিরা ডাক পাচ্ছেন না। ফলে, ‘দূর গ্রহের জীব’ হয়েই রয়ে যাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিরা আইনসভার বাইরেও পৃথক কর্মসূচি করলেন। সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। মাইক ব্যবহার করে কর্মসূচি করা যাচ্ছে না, তাই জনপ্রতিনিধিরা কর্মসূচি নিচ্ছেন। এক দিন হাওড়া স্টেশনেও এ রকম কর্মসূচি নেবেন।’’
শুভেন্দুর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়কদের একটি দল শিয়ালদহ স্টেশনে অস্থায়ী মঞ্চে চলমান প্রদর্শনীর সূচনা করেন। আগামী দিনে প্রতিটি রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, মেট্রো স্টেশন ও বিমানবন্দরে এই কর্মসূচি করার পরিকল্পনা রয়েছে, জানান শুভেন্দু। প্রদর্শনীতে যে সব তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী কিংবা দলীয় জনপ্রতিনিধি, নেতা কিংবা তাঁদের পরিবারের কারও চাকরি আদালতের রায়ে খারিজ হয়েছে, তাঁদের তালিকা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। দিল্লিতে এ দিনই সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একই রকম প্রদর্শনী করেন বাংলা থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদেরা। ছিলেন সুকান্ত, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি এই রাজ্যে ও দেশ জুড়ে যা করেছে, তার প্রদর্শনী করলে তো শেষ হবে না! চলতেই থাকবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)