স্থানীয় পেট্রলপাম্পে কোনও কারণে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণে পুলিশ তাঁকে আটক করে। তবে পরে ছেড়েও দেয়। কিন্তু তার পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি প্রীতম সিংহ। ৫৫ দিন পর লখনউয়ে তাঁর বাড়ি থেকেই খুঁজে পাওয়া যায় তাঁকে। আদৌ নিখোঁজ হয়েছিলেন? প্রশ্ন উঠতেই বিজেপি নেতার স্পষ্ট জবাব, পুলিশকে শিক্ষা দিতেই এই নাটক করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।
গত ১৮ অক্টোবর প্রীতম নিখোঁজ হন, এমনই দাবি করেছিল তাঁর পরিবার। প্রীতমের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়। ২৮ নভেম্বর তাঁর ভাই বীর সিংহ এলাহাবাদ হাই কোর্টে অভিযোগ করেন, প্রীতমকে খোঁজার ব্যাপারে পুলিশ উদাসীন। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ ভাবে পুলিশই প্রীতমকে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বীর। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ওই বিজেপি নেতার সন্ধানে আরও জোর দেয়।
জানা গিয়েছে, পেট্রলপাম্পে বিবাদের পর পুলিশ প্রীতমকে আটক করেছিল। তবে পরের দিনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবারও ফেরত দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও থানায় এক রাত আটকে থাকার ঘটনা অপমানজনক বলে মনে হয় প্রীতমের। তার পরই তিনি কষেন আত্মগোপনের ছক!
আরও পড়ুন:
তদন্তে নেমে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় প্রীতমের খোঁজে। প্রথমে তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও ১২ ডিসেম্বর লখনউয়ে নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় প্রীতমকে। তার পরে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে নিরাপত্তার কারণে পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে একটি বৃদ্ধাশ্রমে নজরবন্দি করে রেখেছে।
বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে দাপুটে নেতা প্রীতম। লোধি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর প্রভাব রয়েছে। ওই এলাকা থেকেই তিন বার লোকসভা নির্বাচনে এবং এক বার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছেন। বিজেপির টিকিটে ২০০৭ সালে রথ বিধানসভা আসনে লড়েন তিনি। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও দাঁড়ান। তবে দু’বারই হেরে যান। ২০১৪ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েও হেরে যান। ২০২২ সালে আবার বিজেপিতে ফিরে আসেন তিনি।