Advertisement
E-Paper

পুরভোটে বিজেপি ধরাশায়ী হরিয়ানায়

গত রবিবার রাজ্যের অম্বালা, পঞ্চকুলা ও সোনীপত— এই তিন এলাকায় মেয়র পদে নির্বাচন হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কৃষক আন্দোলনের প্রভাবে হরিয়ানার পুর নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি। দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় যেখানে কৃষকেরা বিক্ষোভে বসে রয়েছেন, সেই এলাকা সংলগ্ন সোনীপত এলাকায় মেয়র পদে গো-হারা হেরেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। একই ফল হয়েছে অম্বালাতেও। সেখানেও মেয়র পদে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বিজেপির শরিক দুষ্যন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টির দলও তাদের ঘরের মাঠ হিসার ও রেওয়াড়ীতে পুর-পরিষদীয় ভোটে পরাজিত হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষক আন্দোলনের জেরে পুরভোটে ছত্রভঙ্গ দশা বিজেপি ও তার শরিকদের।

গত রবিবার রাজ্যের অম্বালা, পঞ্চকুলা ও সোনীপত— এই তিন এলাকায় মেয়র পদে নির্বাচন হয়। এদের মধ্যে একমাত্র পঞ্চকুলায় কোনও মতে জিতেছে বিজেপি। বাকি দু’টি আসনের মধ্যে সোনীপতে জিতেছে কংগ্রেস। সোনীপত হল একেবারে সিংঘু সীমানা লাগোয়া। যেখানে গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে বসে রয়েছেন কৃষকেরা। অন্য আসন অম্বালাতে জিতেছেন হরিয়ানা জনচেতনা পার্টির নেত্রী রানি শর্মা। তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিনোদ শর্মার স্ত্রী। যার ছেলে মনু শর্মা জেসিকা লাল হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

বিজেপির এই হার নিয়ে কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, সাধারণত যারা ক্ষমতায় থাকে তারাই এই ভোটগুলি জেতে। কিন্তু এই সরকার যে এক বছরের মধ্যেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কেবল গ্রামীণ এলাকাতেই নয়, শহরেও হেরেছে বিজেপি। সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক-সহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কতটা, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল প্রচারের সময়েই। প্রচারে গিয়ে মু্খ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে কালো পতাকা দেখতে হয়েছে। এ জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে হরিয়ানা প্রশাসন। এতে ক্ষোভ আরও বাড়ে। যার প্রভাব পড়েছে ভোটে। তবে হরিয়ানায় নিজেদের ফলও যে আশানুরূপ হয়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য ধর্মান্তরণ রুখতে আইনই চান রাজনাথ

শহরে মেয়র পদে বিজেপি যেমন ফল খারাপ করেছে, তেমনি গ্রামীণ এলাকায় পুর-পরিষদীয় ভোটে রেওয়াড়ীর ধারুহেরা ও হিসারের উকলানায় হেরে গিয়েছে বিজেপির শরিক দুষ্যন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি। কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদ করে অকালি দল জোট থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে চাপ বাড়ছিল দুষ্যন্তের উপরেও। কৃষক আন্দোলনের শুরুতে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি প্রতিশ্রুতি না-দিলে তিনি সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু এক মাস পরেও তাঁর সরকারে থেকে যাওয়া হরিয়ানার মানুষ যে ভাল ভাবে নেননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে ভোটের ফল। এক বছর আগে যেখানে তাঁর দল অনায়াসে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেই এলাকাতেই মানুষ প্রত্যাখান করেছে এনডিএ-কে।

আরও পড়ুন: কৃষক-নিন্দা: প্রতিবাদ রাজনাথের, ক্ষুব্ধ সঙ্ঘও

bjp Haryana Municipal Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy