প্রতীকী ছবি।
রাজ্যসভায় প্রথম বার নির্বাচিত সাংসদদের ‘ক্লাস রুম’-এ বিপুল গরহাজিরা বিজেপি-র। বিষয়টি নিয়ে হতাশ বিরোধী দলের ‘শিক্ষকে’রা। বিরোধী দলের এক নেতার কথায়, “নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ সংসদের বিষয়ে এতটাই উদাসীন যে নতুন সাংসদদের উৎসাহটুকু পর্যন্ত দিতে চান না।”
শনি এবং রবি — এই দু’দিন রাজ্যসভার নতুন সাংসদদের সংসদীয় নিয়ম কানুন নিয়ে প্রশিক্ষণমূলক বক্তব্য পেশ করেছেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, বিজেপির ভূপেন্দ্র যাদব প্রমুখ। এর আয়োজন করেছিল রাজ্যসভার সচিবালয়। সূত্রের খবর, বিজেপির নতুন ৩০ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র ৩ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে এই একই দিনে বিজেপির একটি অনুষ্ঠানের কারণে এই গণ গরহাজিরা। বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে অন্য তারিখ (২৩ এবং ২৪ জুলাই) চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান রাজি হননি। তাঁর বক্তব্য, বক্তাদের সময় দিনক্ষণ সব নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন আর বদলানো সম্ভব নয়।
বাম, কংগ্রেস এবং ছোট ছোট দলগুলির সাংসদদের উপস্থিতির হার ছিল ভাল। তবে দু’দিনে এক মুহূর্তের জন্যও যিনি ক্লাসের বাইরে যাননি তাঁর নাম পি টি উষা! বক্তারা উচ্ছ্বসিত তাঁকে নিয়ে। জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন, “আজ রাজ্যসভায় সাংসদদের ভূমিকার বিষয়ে আমি বলেছি। নতুনদের মধ্যে পি টি উষাকে দেখে আমি উদ্বেলিত। চুরাশির অলিম্পিকে পদক হারানোর যন্ত্রণা তিনি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন।” তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “পি টি উষা এক জন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। উনি আগাগোড়া বসে মন দিয়ে শুনছিলেন। এক জন আসল চ্যাম্পিয়ন জানেন, এক মিনিট সময়ও অমূল্য, তাকে ছাড়া যায় না।” মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি সংসদে উত্থাপন করার জন্য কী ভাবে সংসদীয় নিয়মকানুনকে ব্যবহার করা যায়, তা নতুন সাংসদদের জানান ডেরেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy