লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে বিজেপির কৌশল চূড়ান্ত করতে সপ্তাহের শেষে বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। সে কারণে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া ওড়িশার ভুবনেশ্বরকে।
বিজেপির ওড়িশার নেতা ও মোদী সরকারের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ দিল্লিতে বলেন, ‘‘এই বৈঠক ওড়িশায় করা হচ্ছে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যেও বার্তা যায়। দুই রাজ্যেই সারদা কেলেঙ্কারি রয়েছে। আর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের দুই ‘মহানুভব’ও (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পাল) এখন ভুবনেশ্বরে।’’ ধর্মেন্দ্রর কথায়, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা পূর্বাঞ্চলে বিজেপি কী ভাবে আরও শক্তি বাড়াতে পারে— ১৫ ও ১৬ এপ্রিলের কর্মসমিতির বৈঠকে তা স্থির হবে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ চাইছেন, গত লোকসভা ভোটে যে সব জায়গায় বিজেপি ভাল ফল করেনি, এ বার সেখানেই শক্তি বাড়িয়ে বাজিমাত করতে হবে।
সম্প্রতি ওড়িশার পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে ভাল ফল করেছে বিজেপি। দু’বছর পরে লোকসভার বছরেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নবীন পট্টনায়কের দল ভাঙিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে বিজেপি। অমিত শাহ দাবি করেছেন, পরের ভোটে ওড়িশায় সরকার গড়বে তাঁর দল। সম্প্রতি দিল্লিতে নবীন পট্টনায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সতর্ক করে বলেছেন, বিজেপি তৃণমূলকেও ভাঙার চেষ্টা করছে। আজ ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘দল ভাঙার কাজ বিজেপি করে না। এমনিতেই যারা অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে, তাঁরা স্বাগত।’’
কর্মসমিতির বৈঠকের পরেই অমিত শাহ বুথে বুথে সফর শুরু করবেন। গত লোকসভায় বিজেপি যে কেন্দ্রগুলিতে জিততে পারেনি অথবা দলের সংগঠন মজবুত নয়— সফরের শুরুতে এমন এলাকাই বেছে নিচ্ছেন অমিত। সেই হিসেবেই উত্তরবঙ্গে বিজেপি সভাপতির কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। আর ক’দিন আগেই দলের বৈঠকে মোদী বলেছেন, লোকসভায় যে সব কেন্দ্রে হারতে হয়েছে, এ বার সেখানে শুধু বিজেপি নয়, গোটা এনডিএকে জোর দিতে হবে। পূর্ব দিকের রাজ্যগুলিতেও জোর দেওয়ার কথা বলে আসছেন মোদী। ওড়িশা ও বাংলায় সাফল্য পেতে এ বার তাই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy