তিনি এ বারের নির্বাচনে দিল্লির সবচেয়ে ধনী বিজেপি প্রার্থী। নির্বাচনী হলফনামা অন্তত তেমনই বলছে। শকুরবস্তিতে এ বারের বিজেপি প্রার্থী। আম আদমি পার্টির (আপ) প্রার্থী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেওছেন। সত্যেন্দ্র জৈন প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। আপের হাত থেকে এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি কার্নেল সিং।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সম্পত্তির যে হলফনামা জমা দিতে হয়, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই হলফনামার প্রেক্ষিতে এ বারে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী কার্নেল সিংহ। হলফনামা অনুায়ী, কার্নেলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫৯ কোটি ৬৭ লক্ষ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। ২৫ লক্ষ টাকার বিমা। সোনা এবং হিরে মিলিয়ে ৩৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।
তাঁর স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে হরিয়ানায় ৬০ কোটি টাকার খামারবাড়ি। সোনিপতে ৫৫ লক্ষ টাকার দোকান। এ ছাড়াও আমেরিকার ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফর্নিয়া, হরিয়ানার সোনিপতে মোট ১৯৮ কোটি টাকার বাড়ি রয়েছে। চার মধ্যে আমেরিকাতেই চারটি বাড়ি। মাই নেতা ডট কমের তথ্য বলছে, দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন কার্নেল।
উত্তর দিল্লির শকুরবস্তি কেন্দ্র ছিল আপের শক্ত ঘাঁটি। সেই ঘাঁটিতেই থাবা বসাতে কার্নেলের মতো দুঁদে রাজনীতিককে প্রার্থী করে খেলা ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। হলও তাই। এই কেন্দ্রে আপ প্রার্থী সত্যেন্দ্রর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জেলও খাটতে হয় তাঁকে। গত বছরের অক্টোবরে তাঁকে জামিন দেয় দিল্লির আদালত। অরবিন্দ কেজরীওয়াল, মণীশ সিসৌদিয়া-সহ যে সব আপ নেতা মন্ত্রীরা বিভিন্ন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, সত্যেন্দ্র ছিলেন তাঁদের মধ্যে এক জন। দিল্লির প্রাক্তন এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটিয়েও বিজেপি তাঁদের ভাবমূর্তিতে আঁচড় কাটতে পারবে না। এ বারের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার-সহ বেশ কয়েকটি কারণকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছিল আপ। শকুরবস্তিতেও সেই একই হাওয়া তুলেছিলেন সত্যেন্দ্র। কিন্তু সেই হাওয়া ধোপে টিকল না শেষমেশ। পাশা পাল্টে দিলেন বিজেপির কার্নেল।