Advertisement
E-Paper

টাকা নিয়ে অশান্তি, ওড়িশায় ট্রাফিক কনস্টেবল স্ত্রীকে খুন, জঙ্গল থেকে দেহ উদ্ধার, ধৃত স্বামী

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শুভমিত্রা সাহু। পারাদ্বীপের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তিনি ভুবনেশ্বরে থাকতেন। সেখানেই তিনি ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৩
গ্রেফতার অভিযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত।

গ্রেফতার অভিযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত।

ওড়িশায় ট্রাফিক কনস্টবেল স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, অভিযুক্তও এক জন পুলিশকর্মী। কেওনঝরের একটি জঙ্গল থেকে ট্রাফিক পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শুভমিত্রা সাহু। পারাদ্বীপের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তিনি ভুবনেশ্বরে থাকতেন। সেখানেই তিনি ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভুবনেশ্বরে থাকাকালীন শুভমিত্রা গোপনে বিয়ে করেন দীপক রাউত নামে এক ব্যক্তিকে। তিনিও পুলিশে কর্মরত। গত ৬ সেপ্টেম্বর কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শুভমিত্রা। কিন্তু আর ফিরে আসেননি। দু’দিন ধরে তাঁর খোঁজ না পেয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভমিত্রার মা।

অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তখন তারা জানতে পারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দীপককে বিয়ে করেন শুভমিত্রা। তাঁদের দু’জনকে একসঙ্গে শেষবার দেখা গিয়েছিল ভুবনেশ্বরে। তার পর থেকেই দীপককে সন্দেহের আওতায় আনে পুলিশ। দীপকের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। বুধবার তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় দীপক স্বীকার করেন গত ৬ সেপ্টেম্বর কর্মস্থল থেকে শুভমিত্রাকে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে যান দীপক। গাড়িতেই শুভমিত্রাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ কেওনঝরের ঘাটগাঁও এলাকার একটি জঙ্গলে পুঁতে দেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, শুভমিত্রার সঙ্গে দীপকের টাকা নিয়ে অশান্তি চলছিল। শুভমিত্রার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন দীপক। সেই টাকা শুভমিত্রা ফেরত চাইলে অশান্তি শুরু হয়। আর তার পরই শুভমিত্রাকে খুনের পরিকল্পনা করেন দীপক।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাইরে প্রচুর টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল দীপকের। সেই টাকা মেটানোর জন্য শুভমিত্রার উপর চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। ১০ লক্ষ টাকা দেন শুভমিত্রা। কিন্তু দীপক আরও টাকা দাবি করতে থাকেন। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। আর তার পরেই খুনের পরিকল্পনা করেন দীপক। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। কারণ শুভমিত্রার ফোনের টাওয়ার লোকেশন ওই জায়গাগুলিতে ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই সব জায়গায় গিয়েও শুভমিত্রার কোনও হদিস মেলেনি। তখন শুভমিত্রার কর্মস্থলে খোঁজ নেওয়া হয়। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গাড়িটিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। সেই গাড়ির সূত্র ধরে দীপকের হদিস পান তদন্তকারীরা।

Odisha Traffic Police Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy