পশ্চিম এশিয়ার দু’টি দেশের বুকিং হু হু করে বাতিল করছেন ভারতীয় পর্যটকেরা। নতুন করে বুকিংয়ের সংখ্যাও এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে। ভারতের একাধিক অনলাইন ভ্রমণ সংস্থা বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে এই দুই দেশই সরাসরি পাকিস্তানকে ‘সমর্থন’ করেছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই ভারতীয় পর্যটকেরা এই দুই দেশ থেকে আপাতত মুখ ফিরিয়েছেন। ভ্রমণ সংস্থাগুলিও এই দেশগুলির প্রচার স্থগিত রেখেছেন।
বুকিং বাতিল হচ্ছে মূলত তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজানের। অভিযোগ, দু’টি দেশই ভারত-পাক সংঘর্ষে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে। একটি জনপ্রিয় অনলাইন ভ্রমণ সংস্থা বুধবার বিবৃতি দিয়ে এই দুই দেশের বুকিং বাতিলের কথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গত এক সপ্তাহে ভারতীয় পর্যটকদের অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজানের বুকিং ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। বুকিং বাতিলের পরিমাণ আচমকা বেড়ে গিয়েছে প্রায় ২৫০ শতাংশ।’’
আরও পড়ুন:
ওই ভ্রমণ সংস্থাটি তুরস্ক বা আজ়ারবাইজানের টিকিট বুকিংয়ের বন্দোবস্ত এখনও বাতিল করেনি। তবে এই প্রসঙ্গে তারা ভারতের পাশে আছে বলেই জানিয়েছে। সংস্থার দাবি, অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কোনও কারণে এই দুই দেশে যাওয়ার প্রয়োজন থাকতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে এখনও বুকিং চালু রাখা হয়েছে। তবে নতুন করে এই দুই দেশের ভ্রমণের প্রচার করা হচ্ছে না। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে এখন তুরস্ক বা আজ়ারবাইজানে না-যান, সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের।
অন্য একটি অনলাইন ভ্রমণ সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে তাদের তুরস্কে ভ্রমণের বুকিং ২২ শতাংশ এবং আজ়ারবাইজানে ভ্রমণের বুকিং ৩০ শতাংশ বাতিল হয়ে গিয়েছে। ওই সংস্থার চেয়ারম্যান নিশান্ত পিট্টি সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, দুই দেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় পর্যটকেরা যে অবস্থান নিয়েছেন, তিনি তা সমর্থন করছেন। তবে যে বুকিং রয়েছে, ভোগান্তি এড়াতে তা সংস্থার তরফে বাতিল করা হচ্ছে না।
২০২৪ সালের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় আড়াই লক্ষ পর্যটক ভারত থেকে ওই বছর আজ়ারবাইজানে গিয়েছিলেন। ওই বছর তুরস্কে গিয়েছেন ভারতীয় ৩.৩ লক্ষ পর্যটক। দু’টি দেশের অর্থনীতিই যথেষ্ট পুষ্ট হয় পর্যটন থেকে। তুরস্কের জিডিপির ১২ শতাংশই আসে পর্যটন থেকে। ভারতীয়দের বুকিং বাতিলের প্রভাব তাতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।