— ছবি সংগৃহীত
বিজেপি-শাসিত অসম ও উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি ঘোষণা করেছে। বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যগুলিও এ বিষয়ে আইন আনতে সরব। একাধিক বিজেপি সাংসদ চান, দ্রুত গোটা দেশে বাধ্যতামূলক করা হোক জন্মনিয়ন্ত্রণ। তার জন্য করা হোক আইন। এই আবহে শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও বিজপি সাংসদ অনিল আগরওয়াল রাজ্যসভায় জানতে চেয়েছিলেন কেন্দ্র কি গোটা দেশের জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনতে চাইছে? উত্তরে রাশিবিজ্ঞান ও প্রকল্প রূপায়ণ দফতরের মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ আজ জানালেন, সরকারের আপাতত এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।
বিজেপি দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন আনার পক্ষপাতী দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি অসম ও উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি ঘোষণা করার পরে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি মোদী সরকারও জনসংখ্যা নিয়্ন্ত্রণ নীতি আনার কথা ভাবছে? বিশেষ করে মোদী নিজেই যখন ২০১৯-এ লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনের কথা বলেছিলেন। চলতি অধিবেশনেই রাজ্যসভায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাকেশ সিন্হা ও অনিল আগরওয়াল। আজ রাজ্যসভায় লিখিত প্রশ্নকর্তাদের এক জন ছিলেন এই অনিলই।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে যে কোনও ধরনের জোরাজুরির বিরুদ্ধে তারা। এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, “রাম মন্দির, ৩৭০ ধারা বিলোপের মতোই জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল আনা বিজেপির দীর্ঘদিনের দাবি। দেশের স্বার্থেই বিজেপি তা রূপায়ণে বদ্ধপরিকর। আপাতত সরকার ওই বিলের কথা ভাবছে না, কিন্তু আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে যে ভাববে না, সেটা এখনই কী বলা যায়?”
বিরোধীদের মতে, মেরুকরণের উদ্দেশ্যেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল এনেছেন যোগী সরকার। ঠিক একই ভাবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকার হিন্দু ভোট মেরুকরণের উদ্দেশ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল আনতে পারে বলেই বিরোধীদের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy