প্রতীকী ছবি।
করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার্য রেমডেসিভিয়ার, টসিলিজ়ুমাবের মতো এ বার ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসায় ব্যবহার্য ইঞ্জেকশনও খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য শিবিরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ইঞ্জেকশনের কৃত্রিম অভাব রুখতেই এটা আগাম সতর্কতা।’’
করোনার সংক্রমণের মধ্যেই রাজ্যে হানা দিয়েছে ছত্রাক-সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামলাতে এসএসকেএম হাসপাতালকে ওই রোগের চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে সাব-হাব করা হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে। সেই চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জেকশন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে 'অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি'। বিভিন্ন সংস্থার তৈরি ওই ইঞ্জেকশনের ভিন্ন ভিন্ন দাম। তবে খোলা বাজারে ওই ইঞ্জেকশনের একটি ভায়ালের দাম পড়ছে গড়ে ৫-৬ হাজার টাকা। রেমডেসিভিয়ার বা টসিলিজ়ুমাবের মতো এই ইঞ্জেকশনের কালোবাজারি রুখতেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত পরামর্শ-নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছে সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের উদ্দেশে।
ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে ওই ইঞ্জেকশন পাওয়া যাবে। কিন্তু চিকিৎসক বা হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে খোলা বাজারে তা কেনা যাবে না। প্রেসক্রিপশন করে রোগীর পরিজনকে রেমডেসিভিয়ার ও টসিলিজ়ুমাব দেওয়া যেমন নিষিদ্ধ, অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি-র ক্ষেত্রেও তা-ই। ওই দু’টির মতো এই ইঞ্জেকশনের জন্যও রোগীর তথ্য, প্রেসক্রিপশন পাঠাতে হবে প্রস্তুতকারী সংস্থা বা স্টকিস্টের কাছে। হাসপাতালের সুবিধার্থে ওই পরামর্শ-নির্দেশিকায় কয়েকটি প্রস্তুতকারী সংস্থা, স্টকিস্টের নাম, ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy