ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার আবহেই সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করল ভারত। কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে ‘টেরিটোরিয়াল আর্মি’ (টিএ)-র সদস্যদের ডেকে নিতে পারবে ভারতীয় সেনা। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে স্থলসেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীকেই।
গত মঙ্গলবার ‘টেরিটেরিয়াল আর্মি’ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজন মোতাবেক নিরাপত্তারক্ষার কাজে কিংবা সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার কাজে নিযুক্ত করা যাবে টিএ-র আধিকারিক কিংবা অন্য সদস্যদের। এ-ও বলা হয় যে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্থলসেনাপ্রধানই।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, টিএ হল অস্থায়ী সেনা। ১৯৪৮ সালের ‘টেরিটোরিয়াল আর্মি অ্যাক্ট’ অনুসারে এটি গঠন করা হয়। নির্দিষ্ট কয়েকটি মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারলে সাধারণ মানুষও এই অস্থায়ী সেনায় যোগ দিতে পারেন। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে কিংবা আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই সেনার সঙ্গে যুক্তদের ডেকে পাঠানো হয়। এর আগে ১৯৬৫ এবং ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধ, কার্গিল যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন টিএ-র সদস্যেরা।
টিএ-র কত জনকে মোতায়েন করা হবে, তা স্থির হয় মোট কতটা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তার উপর। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ব্যতীত অন্য কোনও মন্ত্রক তাদের প্রয়োজনে টিএ-র সদস্যদের ডাকতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে ব্যয়ভার বহন করতে হয়।