গুজরাতের পাক সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন, তার খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি ফোন করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকে। কেন্দ্রের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারি স্তরে প্রস্তুতি কতটা, তারও খোঁজখবর নেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভারতের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয় গুজরাতের পাক সীমান্তবর্তী জেলা বনাসকাঁঠা, পাটন, কচ্ছ এবং জামনগরে। আকাশপথে সম্ভাব্য পাক হামলা এড়াতে গুজরাতের বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতেই ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়। বেজে ওঠে সাইরেন। এই পরিস্থিতিতে ওই জেলাগুলির বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা গুজরাত প্রশাসনের কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
জম্মুর পাশাপাশি রাজস্থান, পঞ্জাবের একাংশেও বৃহস্পতিবার রাতে ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। সেখানে ছুটে আসে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার। পাকিস্তানের হামলা শুরু হতেই ওই তিন রাজ্যের সীমান্তলাগোয়া এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় আলো। পঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডীগড়ে বাজানো হয় সাইরেন। গোটা বিষয়টি জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে ফোন করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহৌর, সিয়ালকোটে পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা।