Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Yogi Adityanath

কেন্দ্রকে না জানিয়ে ১৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করায় তিরস্কৃত যোগী সরকার

এর আগে যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী।

যোগী সরকারকে তিরস্কার কেন্দ্রের। —ফাইল চিত্র।

যোগী সরকারকে তিরস্কার কেন্দ্রের। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ১৯:২৩
Share: Save:

বিরোধীরা আপত্তি তুলেছিলেন আগেই, এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও তিরস্কৃত হল উত্তরপ্রদেশেযোগী সরকার। সম্প্রতি ১৭টি সম্প্রদায়কে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র অন্তর্ভুক্ত করেছিল তারা। মঙ্গলবার তাদের সেই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিলেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী থবর চাঁদ গহলৌত। সংসদ ছাড়া আর কারও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এর আগে যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী। এ দিন রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বিষয়টি তুলে ধরেন তাঁরই দলের নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্র। সংবিধানের ৩৪১ ধারার ২ নম্বর উপধারা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘কোনও সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করার অধিকার শুধু সংসদের রয়েছে। রাষ্ট্রপতির হাতেও এই ধরনের পরিবর্তন ঘটানোর ক্ষমতা নেই।’’

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন থবর চাঁদ গহলৌত। তিনি বলেন, ‘‘এ সব ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো উচিত ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের। বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতাম আমরা।’’

আরও পড়ুন: ইসকনের রথযাত্রায় এ বার বিশেষ অতিথি নুসরত​

গহলৌত আরও জানান, উত্তরপ্রদেশ সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা সংবিধানের পরিপন্থী। কোন সম্প্রদায়কে কোন শ্রেণিভুক্ত করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে শুধু সংসদের। এখনই এই সংক্রান্ত কোনও সার্টিফিকেট ইস্যু করা চলবে না। নইলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। যোগী আগদিত্যনাথ সরকারকে অবিলম্বে এই নির্দেশ বাতিল করতেও নির্দেশ দেন তিনি।

আরও পড়ুন: আমেরিকায় দাউদ ঘনিষ্ঠর প্রত্যর্পণ এড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান​

গত ২৪ জুন কাশ্যপ, রাজভর, ধীবর, বিন্দ, কুমহার, কাহার, কেওয়াত, নিষাদ, ভর, মাল্লা, প্রজাপতি, ধিমার, বাথাম, তুরহা, গোডিয়া, মাঞ্ঝি এবং মাছুয়া— এই ১৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর আগে, ২০০৫ সালে একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন মুলায়ম সিংহ যাদবের সরকার। সে বার, ১১টি সম্প্রদায়কে ওবিসি-র আওতায় আনার প্রস্তাব দেয় তারা। তবে শেষমেশ তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE