পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে চার লক্ষের বেশি মানুষের কাছে ন’টির বেশি সিমকার্ড রয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। নতুন টেলিকম আইন অনুসারে, কোনও ব্যবহারকারীর নামে সর্বাধিক ন’টি সিম থাকতে পারে। কারও নামে তার বেশি সিম সচল থাকা বেআইনি।
রাজ্যে কত জনের কাছে ন’টির বেশি সিম রয়েছে, তা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। জবাবে কেন্দ্রীয় যোগযোগ প্রতিমন্ত্রী পি চন্দ্রশেখর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের ৪,০৫,৩০৭ জন বাসিন্দাকে কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে। তাঁদের নামে ন’টির বেশি সিম রয়েছে। এ ছাড়া সর্বাধিক সীমা অতিক্রম করে যাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে বাংলায় ১৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৩৪টি সিম বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
নিয়ম অনুসারে দেশে ব্যবহারকারী পিছু সর্বাধিক ন’টি সিম থাকার নিয়ম থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন জম্মু ও কাশ্মীর, অসম এবং উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে সর্বাধিক ছ’টি সিম ব্যবহার করতে পারেন এক জন ব্যক্তি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারী পিছু সিমের সংখ্যা কমিয়ে ছয়ে নামিয়ে আনার কোনও ভাবনাচিন্তা রয়েছে কি কেন্দ্রের? তা-ও সংসদে জানতে চান শমীক। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, বর্তমানে কেন্দ্রের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।
আরও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো সিম সংযোগ বন্ধ করতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও করেন বিজেপি সাংসদ। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। কোন কোন ব্যবহারকারীর নামে নির্ধারিত সীমার বেশি সিম চালু রয়েছে, তা প্রযুক্তির সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয়। তার পরে সেই তথ্য অনলাইনে একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম মারফত সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে দেওয়া হয়। টেলিকম সংস্থাগুলি তা পুনর্যাচাই করে সিমগুলি বন্ধ করে দেয়।
গত বছরের জুন মাসে নতুন টেলিকম আইন চালু করে কেন্দ্র। ওই আইন অনুসারে, ন’টির বেশি সিম ব্যবহার করা অপরাধ। প্রথম বার আইন ভাঙলে, সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। পরে একই অপরাধ করলে জরিমানার অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়ে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি তিন বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে এই অপরাধের কারণে।