Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Chattishgarh

Sterilization: সাত ঘণ্টায় ১০১ মহিলার বন্ধ্যাত্বকরণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ ছত্তীসগঢ় সরকারের

ছত্তীসগঢ়ের নর্মদাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণের কাজ হয়। অম্বিকাপুর জেলার মেইনপত এবং সীতাপুর ব্লক থেকে এসেছিলেন মহিলারা।

গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি

গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি প্রতীকী চিত্র

সংবাদ সংস্থা
রাইপুর শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৩৪
Share: Save:

ছত্তীসগঢ়ে মাত্র সাত ঘণ্টায় ১০১ জন মহিলার বন্ধ্যাত্বকরণের অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি স্বাস্থ্যশিবিরে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য। গোটা ঘটনার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যসচিব অলোক শুক্ল বলেন, ‘‘একটি স্বাস্থ্যশিবিরে এক চিকিৎসক ১০১ জন মহিলার বন্ধ্যাত্বকরণ করেছেন। যাঁদের বন্ধ্যাত্বকরণ হয়েছে তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু সরকারি নিয়মে দিনে ৩০টির বেশি অস্ত্রোপচার একজন চিকিৎসক করতে পারেন না। তাই এই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ইতিমধ্যেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকের কাছে জবাব চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

ছত্তীসগঢ়ের নর্মদাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত ৩০ অগস্ট মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণের কাজ হয়। অম্বিকাপুর জেলার মেইনপত এবং সীতাপুর ব্লক থেকে এসেছিলেন মহিলারা। বন্ধ্যাত্বকরণের পর ১০-১৫ মিনিট বিশ্রাম শেষে মহিলাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রের দাবি, রাত ৮টা থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত এই অস্ত্রোপচারের কাজ হয়েছে।

যদিও মহিলাদের উপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ এড়ানোর চেষ্টা করেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জিবনুস একতা এবং চিকিৎসক আর এস সিংহ। তাঁদের দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে মহিলাদের ভিড় উপচে পড়ছে। অস্ত্রোপচার না করিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছেন না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chattishgarh Sterilization
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE