মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোর ‘সংরক্ষিত প্রাচীন সৌধ’ জাভারি মন্দিরে বিষ্ণুমূর্তি ‘পুনর্নির্মাণ এবং পুনর্স্থাপনের’ মামলায় তাঁর ‘মন্তব্য’ ঘিরে বিতর্কের আবহে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। তাঁর মন্তব্যের ‘অন্য ব্যাখ্যা’ হয়েছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দাবি, তিনি সব ধর্মে বিশ্বাস করেন, সব ধর্মের উপাসনালয় যান এবং ‘প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা’য় দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন।
মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিপর্ব নিয়ে সমাজমাধ্যমে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কেউ এক জন আমাকে পরের দিন বলেছিলেন যে আমি যে মন্তব্য করেছি তা সমাজমাধ্যমে ভুল ভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে। আমি সব ধর্মে বিশ্বাস করি। আমি সকলকে সম্মান করি।’’ এজলাসে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রধান বিচারপতি গবইকে চেনেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধান বিচারপতি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি ধর্মস্থান এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে যান।’’
ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল’ মর্যাদাপ্রাপ্ত খাজুরাহো মন্দির কমপ্লেক্সে সাত ফুট উঁচু বিষ্ণুমূর্তি প্রতিষ্ঠার আবেদন জানানো জনস্বার্থ মামলাকে মঙ্গলবার খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি গবই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ সেটিকে ‘প্রচারের স্বার্থে মামলা’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। অভিযোগ, আবেদনকারী রাকেশ দালালের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘এ বার আপনাদের দেবতাকেই নিজের জন্য কিছু করতে বলুন।’’
আরও পড়ুন:
নিজেকে একজন ‘বিষ্ণুভক্ত’ বলে দাবি করে রাকেশ শীর্ষ আদালতের কাছে জাভেরি মন্দিরের মন্দিরটি ‘পুনর্নির্মাণ এবং পুনর্স্থাপনের’ আর্জি জানালে তা খারিজ করে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘যদি আপনি ভগবান বিষ্ণুর এক জন প্রকৃত ভক্ত হন, তা হলে আপনি প্রার্থনা এবং ধ্যান করুন।’’ খাজুরাহো মন্দির কমপ্লেক্সটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর তরফে ‘সংরক্ষিত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষিত জানিয়ে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, খাজুরাহো চত্বর সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত এএসআই-এর এক্তিয়ারভুক্ত। আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না।