রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সাধারণের গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রবিবার ভোর থেকেই এ ছবি দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সড়কে। ছবি: এএফপি।
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে সার সার গাড়ি। তবে তা চলাচলের অনুমতি নেই। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর কাছে বহু চালকেরই অনুরোধ, যাতে তাঁদের গাড়ি রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হয়। তবে সে অনুরোধে সাড়া মেলেনি।
রবিবার ভোর থেকেই এ ছবি দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সড়কে। এ দিন থেকেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সাধারণের গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় সেনার কনভয় যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে এবং পুলওয়ামা-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্যই এ বন্দোবস্ত রাজ্য সরকারের। তবে এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা থেকে নাগরিক সমাজ।
জম্মু-কাশ্মীর সরকারের নির্দেশ, বুধবার এবং রবিবার— সপ্তাহের দু’দিন সেনার কনভয় যাতায়াতের দিনে বারামুলা থেকে উধমপুরের ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যাপী বিভিন্ন সড়কে কোনও সাধারণ গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই বন্দোবস্তই চালু থাকবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসনের কড়া নির্দেশ, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সড়কে যাতায়াতের জন্য সাধারণ গাড়ির চালকদের ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সে জন্য ওই সড়কের পাশে মোতায়েন থাকবেন ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাঁদের কাছ থেকে ট্র্যাভেল পাস মিললেই সড়কে ঢুকতে পারবে সাধারণ গাড়ি। এই নির্দেশের জেরেই অনন্তনাগ জেলায় বরযাত্রীদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। শেষমেশ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতিপত্র আদায় করে সড়কে যাতায়াতের সুযোগ মেলে বরযাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ভোর থেকে কমল নাথ ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে আয়কর দফতরের তল্লাশি, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক ক্ষমতাই প্রয়োগ করেছি, অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক, মমতাকে পাল্টা চিঠি কমিশনের
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনার কনভয়ে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গি। পুলওয়ামার সে ঘটনার এক মাসের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে ফের একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। পুলওয়ামা-কাণ্ডের মতো ঘটনা যাতে রোখা যায়, সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে এতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা টুইট করে বলেন, “উরিতে যাওয়ার সময় দেখেছি, এই নির্বোধ নির্দেশিকার ফলে সাধারণের কী ধরনের ব্যাঘাত ও অসুবিধা হচ্ছে।”
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy