ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে! বুধবার গভীর রাতের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের চমোলী জেলা। ধুয়েমুছে গিয়েছে গ্রাম, একাধিক ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে দু’জনকে। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ধস নেমেছে
দেবপ্রয়াগেও। বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের উপর ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা।
বুধবার গভীর রাতে চমোলীর নন্দনগরে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘভাঙা বৃষ্টির পর উপর থেকে প্রবল বেগে নেমে আসে কাদা-মাটি-পাথরের স্তূপ। ধুয়েমুছে যায় গোটা গ্রাম। অন্তত ছ’টি বাড়ি খড়কুটোর মতো ভেসে যায়। সকালে ধ্বংসস্তূপ থেকে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়। এখনও অনেকের কোনও খোঁজ মিলছে না। উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি থামবে না চমোলীতে। বৃহস্পতিবারও সেখানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত থেকেই চমোলীতে শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। প্রবল বেগে কাদামাটির স্রোত বইতে শুরু করে। একে একে ভেঙে পড়তে থাকে ঘরবাড়ি। এখনও বহু মানুষ তাঁদের বাড়িতে আটকে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি মরসুমে একের পর এক মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের বিস্তীর্ণ অংশ। গত ৫ অগস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে আচমকা ক্ষীরগঙ্গা নদীতে হড়পা বান নামে। জলের তোড়ে সুক্খী, ধরালী-সহ একাধিক গ্রাম ধুয়েমুছে যায়। একের পর এক ঘরবাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। সরকারি হিসাবে মৃত পাঁচ। এখনও নিখোঁজ অনেকে। তার পর থেকে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সোমবার রাতেও দেহরাদূন-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এখনও আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।