Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Facebook Advertisements

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে ফেসবুক প্রচারে টক্কর কংগ্রেস-বিজেপির, কোন দলের কত খরচ?

পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স, জনসভা, মিছিলের চৌহদ্দি পেরিয়ে দেড় দশক আগেই ডিজিটাল প্রচার জায়গা করে নিয়েছিল ভোটযুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় কার্যত সেটাই ‘প্রধান’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:২৩
Share: Save:

নির্বাচনী আইন মেনে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়। কিন্তু রাশ টানা যায়নি ইন্টারনেটে। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেও বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে তুমুল প্রচার চালাচ্ছে দুই রাজ্যে যুযুধান দুই প্রধান শিবির, বিজেপি এবং কংগ্রেস। আর তাতে খরচও হচ্ছে দেদার।

পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স, জনসভা, মিছিলের চৌহদ্দি পেরিয়ে দেড় দশক আগেই ডিজিটাল প্রচার জায়গা করে নিয়েছিল ভোটযুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সেটাই ‘প্রধান’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোয়াট্‌সঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে সব দলেরই। নিউজ১৮ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, বিজেপিকে পিছনে ফেলে এ বারের ভোটে মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় ফেসবুক-প্রচারে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে কংগ্রেস!

তবে ফেসবুক বিজ্ঞাপনে ‘ব্যক্তিপ্রচারের’ হিসেব ধরলে এখনও সামগ্রিক ভাবে অন্য দলগুলির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনী প্রচারে মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার জন্য গত এক সপ্তাহে ২৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের জন্য ১২ লক্ষ ৮৪ হাজার এবং তেলঙ্গানার জন্য ১৩ লক্ষ ২৪ হাজার। কংগ্রেস সভাপতির অনুগামীদের সংগঠন ‘খড়্গে ফ্যান ক্লাব’-এর তরফেও ভোটের প্রচারে ৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

কংগ্রেস শাসিত দুই রাজ্য রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে ভোটের ফেসবুক-প্রচারে বিজেপির খরচও ২৬ লক্ষ। এর মধ্যে ছত্তীসগঢ়ে ১৮ লক্ষ ৮৯ হাজার এবং রাজস্থানে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছে পদ্মশিবির। রাজস্থানে ভোট আগামী ২৫ নভেম্বর। ফলে সেখানে আরও প্রচারের সুযোগ রয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মধ্যপ্রদেশে ভোটপ্রার্থী কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশের তৈরি একটি সংগঠন বিজেপির প্রচারে খরচ করেছে আরও ৪ লক্ষ।

করোনাকালের পর ভোটপ্রচারে কড়াকড়ির জেরে সব দলই নেট-প্রচারের উপর জোর বাড়িয়েছিল। চলতি পাঁচ রাজ্যের ভোটে সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে বলে সাম্প্রতিক কালে একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। চলতি বছর সাধারণ বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ২০২২-’২৩ সালের যে আর্থিক সমীক্ষা সংসদে পেশ করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, শেষ ছ’বছরে ভারতের গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযো‌গ বেড়েছে ২০০ শতাংশ।

২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সেখানে শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫৮ শতাংশ। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ কোটি ৫৮ লক্ষের মতো। শহরাঞ্চলে ৯ কোটি ২৮ লক্ষের সামান্য বেশি। নির্মলা দাবি করেছিলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও শহরাঞ্চলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে দেশের গ্রামাঞ্চল। তাই কি মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের মতো রাজ্যেও সমাজমাধ্যমে প্রচার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE