রামমন্দিরের উদ্বোধন থেকে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ— গত দেড় বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেসের দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ শীর্ষনেতৃত্বের কড়া সমালোচনাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন সমানতালে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন রবার্ট বঢরাকেও।
শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহের ভাই লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। এআইসিসির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তারিখ আনোয়ার বুধবার দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘‘দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য লক্ষ্মণকে ছ’বছরের জন্য কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি রাহুলের ভোপাল সফরের সময় দিগ্বিজয়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। তার পরেই এই পদক্ষেপ করা হল। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন লক্ষ্মণ। ৭০ বছরের লক্ষ্মণ অতীতেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দ্বিগ্বিজয় রাজগড়ের সাংসদ পদ ছেড়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ১৯৯৪ সালের উপনির্বাচনে প্রথম ওই আসনে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন তাঁর ভাই লক্ষ্মণ। তার আগে দু’বার কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৬-৯৯, পর পর তিনটি লোকসভা নির্বাচনে রাজগড় আসন থেকেই কংগ্রেস সাংসদ হয়েছিলেন দিগ্বিজয়ের ভাই। কিন্তু ২০০৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দল বদলে ‘পদ্ম’ শিবিরে নাম লেখান। বিজেপির টিকিটে সে বার সাংসদও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে রাজগড় লোকসভা আসনেই হেরে গিয়েছিলেন। এর পর ২০১৩ সালে আবার কংগ্রেসে যোগ দেন। রাজগড় লোকসভার অন্তর্গত চাচৌরা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৮ সালের ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে ওই আসনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন লক্ষণ।