সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখতে চলেছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেখানে তিনি দাবি করবেন, দেশের মানুষের সঙ্কটের সঙ্গে জুড়ে থাকা বিষয়গুলি নিয়েই যেন বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, আজ রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র সংসদীয় দলগুলির নেতাদের বৈঠকের পরই মোদীকে এই চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনিয়া। বাকি বিরোধী দলগুলি এই ধরনের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাবেন কি না, তা সংসদীয় নেতারা তাঁদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কেন্দ্র কী করতে চলেছে, সেটা আঁচ করে কৌশল ঠিক করতেই খড়্গের বাসভবনে ইন্ডিয়া-র দলগুলি বৈঠকে বসেছিল। পরে কংগ্রেসের লোকসভার উপনেতা গৌরব গগৈ বলেন, ‘‘বিশেষ অধিবেশন কেন ডাকা হল তা নিয়ে সরকারের তরফে কোনও কথা বলা হয়নি। আমাদের দাবি, বিশেষ অধিবেশনের কর্মসূচি কী, তা জানানো হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা দেশের মূল সমস্যাগুলির সমাধানে ইতিবাচক অধিবেশন চাই।’’ গগৈয়ের দাবি, ইন্ডিয়া-র দলগুলির ঐক্য দেখে কাঁপছে বিজেপি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, ‘‘সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সরকারের কর্মসূচি কী, তা গোপন রাখা হচ্ছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা হওয়ার কথা নয়।’’
ইন্ডিয়া-র সংসদীয় দলগুলির নেতাদের বৈঠকের আগেই আজ বিকেলে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ-এর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের বৈঠকে স্থির হয়েছে, সরকার যে বিলই আনুক না কেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলি অধিবেশনে তোলা হবে। এই বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, আদানি-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা, বেকারত্বের মতো ১৫-১৬টি বিষয়। পরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘সাধারণত বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলে কর্মসূচি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অনেক আগেই রাজনৈতিক দলগুলিকে দিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি তৈরি হয়। অথচ ইন্ডিয়া-র দলগুলি যখন মুম্বইয়ে বৈঠক করছে, তখন হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সতীর্থরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে বসলেন। এটা নজর ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)