অবশেষে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি ফাইল চিত্র।
সকালে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবশেষে বুধবার দুপুরে রাহুল গাঁধীকে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই সঙ্গে ৫৯ ঘণ্টা আটক করে রাখার পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। যোগী সরকার জানিয়েছে, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা-সহ মোট পাঁচ জন লখিমপুরে যেতে পারেন। রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নী ও রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট লখিমপুরে যাচ্ছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
সোমবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কংগ্রেসের তরফে চিঠি দিয়ে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, রাহুলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল লখিমপুর যেতে চায়। প্রিয়ঙ্কাকে কেন জোর করে আটকে রাখা হয়েছে সেই প্রশ্নও তোলা হয় চিঠিতে। যদিও কংগ্রেসকে তখন অনুমতি দেওয়া হয়নি। বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তার পরেও বাঘেল ও চন্নীকে নিয়ে দিল্লি থেকে লখনউয়ের বিমানে উঠে বসেন রাহুল। তিনি জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রয়োজনে তিন জনের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে তিনি লখিমপুরে যাবেন। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিংহ জানান, পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ও মৃতদের অন্ত্যেষ্টি হয়ে যাওয়ার পরে রাজনৈতিক নেতাদের লখিমপুর যেতে দেওয়া হবে।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে চার জনকে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন অজয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীদের হাতে তাঁর গাড়ির চালক ও তিন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। রবিবার রাতেই লখিমপুর যাওয়ার পথে আটক করা হয় প্রিয়ঙ্কাকে। আটক করা হয় সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy